নয়াদিল্লি: অভিমানে রাজনীতি ছাড়লেন প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন (Harsh Vardhan)। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় নাম নেই তাঁর। এরপরই তিনি রাজনীতি থেকেই সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন। হর্ষবর্ধন রবিবার ঘোষণা করে দিলেন তিনি রাজনীতি ছাড়ছেন। গতকালই সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গৌতম গম্ভীর, এবং জয়ন্ত সিনহা। তারপরই হর্ষবর্ধনের এই সিদ্ধান্ত। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ঠিক আগে আগে যা কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়াবে গেরুয়া শিবিরের।
এদিন হর্ষবর্ধন আবেগঘন পোস্ট করেন সোশাল মিডিয়ায়। তিনি লেখেন, আমাকে বলতেই হবে, এটা আমার জীবনের সেরা অধ্যায় ছিল। সাধারণ মানুষের সেবা করাটা আমার নেশা। এতদিন রাজনীতির মাধ্যমে সেই সুযোগ আমি পেয়েছি। আমি ভারতকে পোলিও মুক্ত করার অভিযানে অবদান রেখেছি, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। মানব সভ্যতার ইতিহাসে খুব কম মানুষই এভাবে জনসেবার সুযোগ পায়। আমি সেই সুযোগ পেয়েছি। সংগঠনে ও সরকারের নানা পদে আমি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছি।এবার আমি আমার শেকড়ে ফিরব।
After over thirty years of a glorious electoral career, during which I won all the five assembly and two parliamentary elections that I fought with exemplary margins, and held a multitude of prestigious positions in the party organisation and the governments at the state and…
— Dr Harsh Vardhan (@drharshvardhan) March 3, 2024
আরও পড়ুন: অন্ধ্রপ্রদেশের রেল দুর্ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন রেলমন্ত্রী
আরএসএস (RSS) কর্মী হর্ষবর্ধন প্রায় চার দশক রাজনীতি করছেন। পাঁচবার বিধায়ক হয়েছেন। দু’বার হয়েছেন সাংসদ। ২০১৯ সালেও দিল্লির চাঁদনি চক আসন থেকে সাংসদ হন। হয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এবার চাঁদনি চক থেকে বিজেপি (BJP) প্রার্থী করেছেন প্রবীণ খান্ডেলওয়ালকে। টিকিট না পেয়ে এক প্রকার রাজনীতি থেকে অবসর ঘোষণা করলেন হর্ষবর্ধন। জানিয়ে দিলেন চিকিৎসাতেই মনোনিবেশ করতে চাইছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, আমি আর ধৈর্য্য ধরতে পারছি না। আমাকে কথা রাখতে হবে। কৃষ্ণনগরে আমার নাক কান গলার যে ক্লিনিক সেটা আমার ফেরার জন্য অপেক্ষা করছে।
অন্য খবর দেখুন