মেল: ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক পোস্ট করায় তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করল মালদ্বীপ সরকার। লাক্ষাদ্বীপে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন করার ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন। তারপর মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী তা নিয়ে নেতিবাচক পোস্ট করেন। মন্ত্রী মারিয়ম শিউনা (Mariyam Shiuna), মালশা শরিফ (Malsha Shareef), মাহজুম মজিদকে (Mahzoom Majid) সাসপেন্ড (Suspend) করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভারত সম্পর্কে ওই পোস্ট করার পর পাল্টা বয়কট মালদ্বীপ (Boycott Maldives) পোস্ট ট্রেন্ডিং হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মনে করা হচ্ছে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য তারা কতটা উদগ্রীব তা বোঝাতে এই ব্যবস্থা নিল সে দেশের সরকার।
রবিবার মালদ্বীপ সরকারের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে, য়ারা সরকারি দায়িত্বে থেকে ওই ধরনের আচরণ করেছেন তাঁদের কর্তব্য থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। মারিয়ম শিউনার পক্ষ থেকে ট্যুইট করে নেতিবাচক ইমোজি দেওয়া হয়েছিল। পরে তা মুছে দেওয়া হয়। মালশা শরিফ ভিডিও শেয়ার করার সময় নেতিবাচক ইমোজি দিয়েছিলেন। বিবৃিততে আরও জানানো হয়েছে, মালদ্বীপ সরকার মনে করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এমনভাবে ব্যবহার করা উচিত যাতে তা গণতান্ত্রিক ও দায়িত্বপূর্ণভাবে হয়। যা ঘৃণা ছড়ায় না। নেতিবাচক নয়। যা মালদ্বীপের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সঙ্গীগুলোর সম্পর্কে বাধা সৃষ্টি করে না। মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সলি এই ঘটনায় মালদ্বীপ সরকারের যারা ওই ধরনের আচরণ করেছিলেন তাঁদের নিন্দা করেছেন। একইভাবে নিন্দা করেছেন মালদ্বীপের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাশিদ।
আরও পড়ুন: শেখ শাহজাহান আদালতের দ্বারস্থ হবেন, বললেন সন্দেশখালির বিধায়ক
ভারত বিরোধী ওই ধরনের পোস্ট সামনে আসার পরই বয়কট মালদ্বীপ পোস্ট ট্রেন্ডিং শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই তালিকায় অভিনেতা, ক্রিকেটার, ভারতীয় সেলিব্রিটিরা যুক্ত হয়ে পড়েন। যা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। উল্লেখ্য, ভারত থেকে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক যায় মালদ্বীপে। তাতে প্রচুর আয় করে সে দেশের সরকার। এই ঘটনায় অনেকে মালদ্বীপে টিকিট বাতিল করা শুরু করেছিলেন।
আরও খবর দেখুন