নয়াদিল্লি: বিলকিস বানো মামলায় দোষী সাব্যস্তদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা আবেদনের আগামিকাল রায় ঘোষণা করবে সুপ্রিম কোর্ট। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএমের প্রবীণ নেত্রী সুভাষিণী আলি, সাংবাদিক রেবতী লাল এবং অধ্যাপক রূপরেখা বর্মা সু্প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে।
গুজরাত সরকার ১১ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে আচমকাই ক্ষমা প্রদর্শন করে মুক্তি দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কয়েকটি আবেদন জমা পড়ে। প্রায় বছরখানেকেরও বেশি সময় ধরে সেই শুনানি চলার পর আগামিকাল, সোমবার রায় শোনাতে পারে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: বয়স হলে কর্মক্ষমতা কমবে এটা ধ্রুব সত্য : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়া গতবছর ১২ অক্টোবর রায় স্থগিত রেখেছিলেন। উল্লেখ্য, ১৫ অগস্ট, দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসে বিলকিস কাণ্ডের আসামি ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত (Gujarat) সরকার। তার আগে, মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীরা।
সেই আবেদনের ভিত্তিতে গুজরাত সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল আদালত। বিজেপি শাসিত গুজরাত সরকার ১১ অপরাধীর (Convict) মুক্তির পক্ষে সওয়াল করায় তাদের ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় শীর্ষ আদালত। ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে শোরগোল শুরু হয়ে যায় দেশ জুড়ে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের মেয়ে গুজরাতে বিজেপির বিধায়ক (MLA) হয়েছেন।
২০০২ সালে গোধরা কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক অশান্তি চলাকালীন ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। গ্রামের বাসিন্দা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের তিন বছরের মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়।
এই ঘটনায় মুম্বইয়ের সিবিআই আদালত (CBI Court) ২০০৮ সালে অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (Life Imprisonment) রায় দেয়। ইতিমধ্যে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন একজন বিচারপতি। আর এই পরিস্থিতিতে রামমন্দির উদ্বোধন এবং লোকসভা ভোটের আগে এই রায় রাজনৈতিক আখড়ায় নতুন কুস্তি প্রতিযোগিতা তৈরি করতে চলেছে।
অন্য খবর দেখুন