কলকাতা: ইডির (ED) মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে, স্ত্রী ও ছেলের জন্য আদালতে আবেদন করলেন মানিক ভট্টাচাৰ্য (Manik Bhattacharya) নিজেই। মানিক ভট্টাচার্যের হয়ে আইনজীবী আদালতে জানান, এমএলএ বলে জন্য জেল খাটতে হল। এদিন মানিক ভট্টাচাৰ্য আদালতে প্রশ্ন তোলেন, যে চড় খায় তাকে মূল্য দিতে হয়। আর যে চড় মারে তার দায়িত্বটা কী? আমি চড় খেয়েছি, সারাজীবন মুল্য দিতে হবে। শুক্রবার একাধিক প্রশ্ন বিচারকের সামনে তুলে ধরেন মানিক। প্রশ্ন তোলেন ইডির তদন্তের গতিবিধি নিয়ে।
এদিন মানিক ভট্টাচাৰ্য আদালতে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ইডি ৩ বছর ধরে তদন্ত করছে। গত ৩ বছরে কী করল? তদন্তে কী বেরোলো? কিছু বেরোয়নি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam Case) কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে সিবিআই এফআইআর করে। অভিযোগ ছিল, টাকার বিনিময় বেআইনি নিয়োগ হয়েছিল। ইডির থেকে তথ্য নিয়ে সিবিআই এর থেকে মানি ট্রেল খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। ইডির গুরুত্বপূর্ণ নথিতে বিশ্বাস করে মানি ট্রেল হয়েছে। কোনও ডকুমেন্টস রিলেইড করেনি।
সত্য একদিন সামনে আসবে।সত্য মেব জয়তে। তিনি আরও বলেন, ৪৭ ক্যান্ডিডেট উত্তর দিনাজপুর।৭ লক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।আমাকে নাকি পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। এই মামলার কোনও প্রতিফলন নেই। আমাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়ে দেয়। ১০, অক্টোবর গ্রেফতার করেছিল। তার প্রতিফলন নেই।তাপস মন্ডলের স্টেটমেন্ট ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি অভিযুক্ত নন, তিনি ভিক্টিম।
তাপস মানিককে ৩.২৫ কোটি দিয়েছিল, এমনটাই অভিযোগ। ৩২৫ টেট পাশ প্রাথী। ৫ জনকে অন্তত চাকরি পাইয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। ১ লক্ষ করে নেওয়া হয়েছিল অযোগ্য প্রাথীদের থেকে। কুন্তল, তাপস স্টেটমেন্ট এ সই করে কী তার সত্যতা আছে। মানিক ভট্টাচার্য নিজেকে ডিফেন্ড করে বলেন, আমি কিছু টেম্পার করিনি।তাপস মন্ডল এর তদন্তে উঠে আসে, লিস্ট ক্যান্ডিডেট এর সাবমিট করে ইডির কাছে ৩ নভেম্বর ২০২২। বেআইনি ভাবে অযোগ্যদের নাম। তাপস যে টাকা দিয়েছিল, এই টাকা জমা জন্য আমার স্ত্রী ও ছেলে তাঁদের বিরুদ্ধে এটা অভিযোগ, তাদেরকে গ্রেফতার করে। রিপিট করা হয়েছে তালিকায়। ৩.২৫ কোটি আমার স্ত্রী, ছেলে জমা করেছে বলেছে অভিযোগ। আমি কোনও টাকা নগদে জমা দেইনি। ২২০৭ ক্যান্ডিডেট বিষয়ে জমা পরে কলকাতা হাইকোর্টে। এরা বেআইনি অযোগ্য ক্যান্ডিডেট? ইডি আদালতে জানিয়েছে এরা সাসপেক্টটেড। সিঙ্গেল ক্যান্ডিডেট যার থেকে টাকা নিয়েছি। এটা প্রমাণ করে দেখাক ইডি-সিবিআই। প্রাইমারি বোর্ড রিক্রুট করে। এটা বাষ্প। এটা একটা মেঘ তৈরি করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকেও এবার সেমেস্টার ব্যবস্থা
তিনি আরও বলেন, সিস্টেম অফ এডমিশন
ডিএল এড ইনস্টিটিউশন স্টুডেন্ট প্রতি ৫০০০ করে টাকা নিয়ে ভর্তি অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে। তাপস মন্ডল কে? যার ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ। যাকে পাবো তাঁকে ছোবো – কানা মাছি ভো ভো —- ইডির উদ্দেশ্যে মানিক বলেন।
মানিকের ছেলে – cesc থেকে স্যালারি পেতো। ৯৫ একাউন্ট ছিল বলে অভিযোগ। সে নিজের চাকরি হারিয়েছে। গোটা জীবন টা শেষ। যেখানে এপলাই করতে যায় সেখানে আইনএর জটিলতা জন্য তার জীবনটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। মানিকের স্ত্রী হয়ে জানান – মৃত ব্যক্তির নামে একাউন্ট ছিল। ২০০৬ সালে খোলা হয়। স্ত্রী – ফাদার ইনল। ২০০৬ ষড়যন্ত্র করেছি মাইনর ছেলে স্ত্রী ও আমি নাকি মিলে? জয়েন্ট একাউন্ট ছিল । ব্যাংক একাউন্ট এর একজন মৃত্যু পর, সেই একাউন্ট যিনি বেঁচে আছেন তিনি অপারেট করেন। এটাই অপরাধ? মৃত্যুঞ্জয় চ্যাটার্জী মারা যান। আমার স্ত্রী সমাজে মুখ দেখাতে পারছে না। ২০১৬-২২ কোনো ডিপোজিট করেছিল? না কোনো ডিপোজিট করেনি। তিনি এই মামলায় কোনও ভাবে যুক্ত নন। ইডির অভিযোগ ছিল, ৩ কোটি টাকা নাকি আছে। এই অভিযোগের সত্যতা নেই।
দেখুন ভিডিও
