পাল্লেকেলে: দ্রাবিড় যুগের শেষের পর গম্ভীর যুগের সূচনা। পাল্লেকেলেতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত। ম্যাচের আগে নতুন কোচ গম্ভীরকে বিশেষ বার্তা প্রাক্তন কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের।
ভারতের প্রাক্তন কোচ গম্ভীরের উদ্দেশে বলেন, ‘ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে উত্তেজক দায়িত্ব ভারতের কোচ হওয়া। সেই কাজে তোমায় স্বাগত। তিন সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে আমি দায়িত্ব ছেড়েছি। যে ভাবে শেষটা হয়েছে তা স্বপ্নের মতো। সেটা বার্বাডোজ় হোক বা মুম্বইয়ে। সেই মুহূর্তগুলো আমি কোনও দিন ভুলতে পারব না। আমি চাইব কোচ হিসাবে তুমিও এই স্বাদ পাও। আশা করব তোমার দলের সব ক্রিকেটার সুস্থ থাকবে। সব সময় তুমি তাদের পাবে। কোচদের কিছুটা ভাগ্যের সাহায্য প্রয়োজন হয়। আশা করি তুমি সেটা পাবে।‘
দ্রাবিড়ের এই বার্তায় আবেগবিহ্বল হয়ে পড়েন গৌতম গম্ভীর। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কী বলব। আমি দ্রাবিড়ের খেলা দেখে বড় হয়েছি। ওঁর রেখে যাওয়া জুতোয় পা গলাতে চলেছি। ক্রিকেটের জন্য এত ত্যাগ করতে আমি আর কাউকে দেখিনি। ভারতীয় ক্রিকেটের যা যা প্রয়োজন দ্রাবিড় সব করেছে।’
অন্যদিকে, ঝড় সামলে মাথা তুলে দাঁড়ানো অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার। বার বার হোঁচট খাচ্ছেন। থমকে দাঁড়াচ্ছেন। তবুও হাল ছাড়ছেন না। টি-২০ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার তাঁর ভাগ্যের চাকা হয়তো ঘুরবে। কিন্তু নিয়তি পিছু ছাড়েনি। বিবাহ বিচ্ছেদ, টি-২০ অধিনায়ক হওয়ার সুযোগ হারানো— একের পর এক ঝড় বয়ে গিয়েছে গত কয়েক দিনে। সবকিছুই হাসি মুখে মেনে নিয়েছেন হার্দিক। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলাটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন তিনি। তা ধরা পড়ল টিম ইন্ডিয়ার অনুশীলনেও। ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব তখন সতীর্থদের কিছু বলছিলেন। আচমকাই হাসির রোল ওঠে। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা হার্দিক জড়িয়ে ধরেন ‘স্কাই’কে, যা দেখে মুচকি হাসতে দেখা যায় কোচ গম্ভীরকেও। মনে মনে তিনি তো এটাই চাইছেন। দলগত সংহতির জোরেই ভারতীয় ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া তাঁর লক্ষ্য। সেই যাত্রা শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কা সফর দিয়ে।
অধিনায়ক হিসেবে সূর্যকুমার এই সফরকে স্মরণীয় করে রাখতে চান। তিনি বলেছেন, ‘একই ট্রেন। শুধু ইঞ্জিনটাই বদলেছে। একসঙ্গে আমরা অনেক দিন ধরে খেলছি। বোঝাপড়া খুবই ভালো। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলকে আরও সাফল্য এনে দেওয়াই লক্ষ্য।’
ভারতের হয়ে ইনিংসের সূচনা করতে পারেন শুভমান গিল ও যশস্বী জয়সওয়াল। তিন নম্বরে সম্ভবত ঋষভ পন্থ। চারে সূর্যকুমার ও পাঁচে হার্দিক পান্ডিয়া। জোর লড়াই শিবম দুবের সঙ্গে রিঙ্কু সিংয়ের। দুই স্পিন অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর এবং অক্ষর প্যাটেলও খেলতে পারেন। আসলে পাল্লেকেলের পিচে স্পিনাররা সুবিধা পাবে। তাই অতিরিক্ত স্পিনার খেলাতে পারে ভারত। রবি বিষ্ণোইয়ের খেলার সম্ভাবনা প্রবল। দুই পেসার হতে পারেন আরশদীপ সিং ও মহম্মদ সিরাজ।
শ্রীলঙ্কা দলেও তারুণ্য, অভিজ্ঞতার মিশেল স্পষ্ট। কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, আভিষ্কা ফার্নান্দো, ক্যাপ্টেন আশালাঙ্কা ব্যাটিংয়ে বড় ভরসা। বোলিংয়ে রয়েছেন পাথিরানা, থিকসানা ও হাসারাঙ্গা। যাঁরা একক দক্ষতায় দলকে জেতানোর ক্ষমতা রাখেন।
অন্য খবর দেখতে ক্লিক করুন: