হুগলি: মেট্রো। মানুষের নিত্য যাত্রার জন্য যার উপর সবচেয়ে বেশি মানুষ এখন নির্ভর করেন। ইতিমধ্যে কলকাতার মধ্যেই শুধু আটকে নেই পরিষেবা, তা বিস্তৃত হয়েছে হাওড়া পর্যন্ত। গঙ্গার তোলা দিয়ে ছুটে চলছে মেট্রো। তবে এবার কি আরও বিস্তৃত হতে চলেছে মেট্রো পরিষেবা? হাওড়ার পর কি পরবর্তী গন্তব্য এবার হতে চলেছে হুগলি!
ইতিমধ্যেই হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতা তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি মন্তব্য করেন, কেন্দ্র যদি দয়া করে তাহলে হুগলি থেকেও চলতে পারে মেট্রো। আর ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি লেখেন অভিনেত্রী সাংসদ রচনা।
আরও পড়ুন: ‘গত দেড় বছরে প্রায় ১০ লক্ষ স্থায়ী সরকারি চাকরি হয়েছে’, দাবি মোদির
আজ অর্থাৎ সোমবার হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্যর সঙ্গে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে একটি বৈঠক করেন হুগলির সাংসদ। সেই বৈঠকেই উঠে আসে মেট্রো প্রসঙ্গ। বৈঠক শেষে রচনা মন্তব্য করেন, ‘ মেট্রোটা যদি চুঁচুড়া ব্যান্ডেল পর্যন্ত আনতে পারি মানুষের খুব উপকার হয়।সেটা নিয়ে চিঠিপত্র চলছে। এটা বড় ব্যাপার। কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। সেটা নিয়ে আওয়াজ তোলা হচ্ছে। জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা হল। ডিএম বলেছেন এটা যদি করা যায় তাহলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।’
পাশাপাশি তিনি জানান রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে এই বিষয়ে তিনি চিঠি লিখেছিলেন যার উত্তর দেন তিনি। তিনি বলেন, “সবথেকে বড় কথা। উনি বলেছেন কীভাবে এগোনো যায় সেটা দেখছেন। জমি অধিগ্রহণ করতে হলেও দেখতে হবে কোথায় কীভাবে এগোনো যায়। এটাতো সরাসরি ব্যান্ডেল শুধু নয়, মাঝে শ্রীরামপুর আছে হাওড়া আছে। হাওড়ায় রয়েছেন প্রসুন ব্যানার্জি শ্রীরামপুরে রয়েছেন কল্যাণ ব্যানার্জি। সবার সঙ্গে মিলিতভাবে এটা করতে হবে। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি চেষ্টা করব মানুষের জন্য। যেটা কেন্দ্রের হাতে তারা যদি একটু দয়া দেখান তাহলে আমরা লড়তে পারি।প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এখনও কথা হয়নি। এ বিষয়ে মন্ত্রীরা রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে যদি বিষয়টা মিটে যায় তাহলে আর প্রশ্ন নেই।”
শুধুমাত্র একটি প্রস্তাব নয়, অভিনেত্রী সাংসদ আরও একটি প্রস্তাব পেশ করেছেন রেলমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ‘যারা আজমেঢ় শরিফ যান তাদের জন্য ব্যান্ডেলে যদি একটা স্টপেজের ব্যবস্থা করা যায়। কারণ তাঁদের হয় বর্ধমান নাহলে কলকাতা থেকে ট্রেন ধরতে হয়।’ এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন অভিনেত্রী।
দেখুন অন্য খবর