নদিয়া: শারীরিক সম্পর্কের পর শ্বাসরোধ করে খুন। ভীমপুরে নাবালিকা খুনের মামলায় উঠে এল নতুন তথ্য। ধৃত প্রেমিককে জেরা করতেই গড়গড় করে সব বলে ফেলল সে। যদিও ধৃত ফারুক মণ্ডল প্রথমে প্রেমিকার জলে ডুবে মৃত্যুর কথা বলে। কিন্তু নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর মৃতদেহের নিম্নাঙ্গে কোনো পোশাক না থাকা, খালপাড় থেকে অন্তর্বাস ও জুতো এবং মৃতদেহের পাশে মাটির নিচে থেকে প্যান্ট উদ্ধার হওয়ায় সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর ফারুককে দফায় দফায় জেরা করে ভীমপুর থানার পুলিশ। জেরাতেই শারীরিক সম্পর্কের পর শ্বাসরোধ করে খুনের তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। জেরায় ফারুক স্বীকার করেছে, ওই কিশোরীর বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আগামী সপ্তাহে তার বিয়ে ছিল। কিন্তু কিশোরী সেই বিয়েতে রাজি ছিল না। সে ফারুককেই বিয়ে করার জন্য জেদ ধরে বসেছিল।
আরও পড়ুন: ‘মুখ খুললে সরকার পড়ে যাবে’ নাবালিকাকে যৌন হেনস্তায় অভিযুক্তের মুখে বিস্ফোরক দাবি
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরী বারবার ফারুককে ফোন করে আত্মঘাতী হওয়ার হুমকি দেয় এবং পালানোর জন্য ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। এরপর দু’জন ডোঙায় চেপে কলিঙ্গ খাল পার হয়ে ফারুকদের গ্রামে আসে। সেখানেই খালের ধারে ঝোপে শারীরিক সম্পর্ক হয় দু’জনের। তারপর বিয়ে করার জন্য ওই কিশোরী তাকে চাপ দেয় বলে দাবি ফারুকের। যদিও ফারুক কোনও ভাবেই কিশোরীকে বিয়ে করতে রাজি ছিল না। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অশান্তি চলে। শেষ পর্যন্ত কোনও উপায় না দেখে ফারুক তার প্রেমিকাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশের দাবি, ফারুক জানিয়েছে সে কিশোরীর গলা টিপে ও ওড়নার ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর মৃতদেহ পুঁতে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনাস্থল থেকে অল্প দূরে একটি নির্মিয়মাণ বাড়ি থেকে কোদাল জোগাড় করে গর্ত খুঁড়ে মৃতদেহ পুঁতে দেয়। ঘটনাস্থল থকে পুলিশ কোদালের ডান্ডা উদ্ধার করছে।
দেখুন আরও খবর: