বেঙ্গালুরু: সরকারি হাসপাতালের নার্সের (Karnatak Nurse) কর্মকাণ্ড দেখে আতঁকে ওঠার জোগাড়। চিকিৎসা করা তো দূরঅস্ত, এক বালকের সঙ্গে যা করলেন তা অপরাধের থেকে কোনও অংশে কম নয়।
জানা গেছে, সাত বছরের বালক পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। তার গালের উপরিভাগে গভীর ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়। চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোক তাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। কর্নাটকে সেই সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত নার্স ক্ষত চিহ্ন সেলাই না করে মজবুত আঠা দিয়ে (Fevikwik Incident) ক্ষতস্থান জুড়ে দিচ্ছিলেন।
অভিভাবকরা প্রতিবাদ করতেই ওই নার্সের যুক্তি সেলাই করলে গালে দাগ থেকে যাবে, কিন্তু আঠা দিয়ে জুড়ে দিলে সেই সমস্যা হবে না। কর্তব্যরত ওই নার্সের নাম জয়তী। ওই নার্সের আজব যুক্তি’ আমি আমার জ্ঞান অনুযায়ী চিকিৎসা করেছি। পরিবারের আপত্তি থাকলে আমি ফেবিকুইক দিয়ে জুড়তাম না, অন্য জায়গায় রেফার করে দিতাম।
আরও পড়ুন: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, আজ থেকে শুরু হল ডেউচা পাঁচামির কাজ
বালকের বাবা মা এই ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান। মজবুত আঠা ব্যবহারের পর বালকের ক্ষতস্থানের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। পরিবারের তরফে স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতরের কাছে আর্জি , ওই নার্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের তরফে একটি বিবৃতিও দিয়ে জানায়, এক ধরনের জোরালো আঠা ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে, সেটি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহারে অনুমোদন নেই। এ ক্ষেত্রে আঠাই ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা তাও স্পষ্ট নয়। অভিযুক্ত নার্সকে সাসপেন্ড করা করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
দেখুন অন্য খবর-