ঠাকুরনগর: শুক্রবার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে মৃত বৃদ্ধার বাড়িতে গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur )। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি বললেন তৃণমূলের সভাপতি। বুধবার বিজেপি কর্মী কানন রায়কে পিটিয়ে খুন করেছিল তৃণমূল কর্মী সমীর মল্লিক। এর পেছনে মদত রয়েছে যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায়ের অভিযোগ বৃদ্ধার পরিবার ও বাসিন্দাদের। এই বৃদ্ধার বাড়িতে এলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর , গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর , বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি দেবদাস মন্ডল।
বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মানিকহীরা দেশপাড়াতে স্থানীয় বিজেপি সমর্থক, বৃদ্ধা কানন রায়কে সমীর মল্লিক নামের এক যুবক মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন। পরে মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার। শুক্রবার কাননের বাড়িতে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে পৌঁছেছিলেন শান্তনু। পরিবারকে সব রকমের সাহায্যের আশ্বস্ত করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, এই সবকিছু হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) নির্দেশে। শান্তনুর দাবি,অভিষেক গাইঘাটা এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন। এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তাদের বাড়ি পাহারা দিচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে এই ঘটনার পিছনে। ওর এখানে অনেক ছেলে রয়েছে। যারা পরিকল্পিত ভাবে বেছে বেছে বিজেপি কর্মী ও মতুয়াদের আক্রমণ করছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শান্তনু বলেন, পুলিশ যদি এর ব্যবস্থা না করে তাহলে আগামী দিনের বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে বিজেপি।
আরও পড়ুন: কাল রাজভবনে নির্মলের শপথে শাসকদলের থাকা নিয়ে সংশয়
অন্যদিকে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিত দাস সাংবাদিকদের বলেন, শান্তনু ঠাকুর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে, আইন আইনের পথে চলবে যদি কেউ অন্যায় করে থাকে সে সাজা পাবে। কিন্তু বিজেপি যেভাবে আইন হাতে তুলে নিয়ে তৃণমূলের যুব সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে এটা মেনে নেওয়া যায় না। শান্তনু ঠাকুর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর দিকে আঙুল তুলছেন এটা মন্ত্রীর আচরণ মনে হচ্ছে না ক্লাবের ছেলেদের মত কথা বলছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাননদেবীর ছেলে জয়ন্ত রায় বিজেপি সমর্থক। ওই বৃদ্ধাও বিজেপি করতেন। বুধবার রাতে বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জয়ন্ত এবং তাঁর স্ত্রীর উদ্দেশে গালিগালাজ করেন সমীর। প্রতিবাদ জানালে জয়ন্তকে তিনি মারধর করেন বলে অভিযোগ। জখম ওই বৃদ্ধাকে রাতেই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁকে বারাসত স্টেট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও অন্য খবর দেখুন