ওয়েব ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে তৎপর ট্রাম্প। এমনই জল্পনা বিশ্ব রাজনীতিতে। যুক্তিও সহজ। আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ব্যবসা বোঝেন। তিনি যুদ্ধে মদত দেবেন না। পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কও বেশ ভালো। খোদ পুতিন বলেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচক্ষণ মানুষ। আশা করি তিনি সঠিক পদক্ষেপ করবেন।’ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো আবার এক ধাপ এগিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ থামাতে তিনি নোবেল কমিটির কাছে ট্রাম্পের নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করবেন।
তবে সে গুড়ে বালি। আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট কফিনের শেষ পেরেকটাও পুঁতে দিয়ে গেলেন। ট্রাম্পের পথে কাঁটা। ট্রাম্প-বাইডেন ঠাণ্ডা যুদ্ধের জেরে বাড়ছে বিপদ। বাড়ছে পরমাণু যুদ্ধের সম্ভবনা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা চাই, ভারত সরকারের কাছে আবেদন RSS-এর
দিনকয়েক আগে বাইডেনের মদতেই ব্রিটেনের কাছ থেকে লং রেঞ্জ মিসাইল পেয়ে রাশিয়ায় দেগে দিয়েছেন জেলেনস্কি। ঘটনার প্রতিশোধ নিতে কিভ লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা দেগেছে। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এবার কিভের বিভিন্ন সরকারি দফতরেও তিনি আগুনের ফুলকি ছোটাবেন। আমেরিকা ইউক্রেনকে মদত দিয়ে চলেছে দেখে বেজায় চটেছেন পুতিন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, ‘ইউক্রেনকে শিক্ষা তো দেবই, ওদের পশ্চিমাবন্ধুদেরও ছাড়ব না।’ তারপর থেকেই পুতিনের কার্যকারিতা চিন্তার ভাঁজ তৈরি করেছে পশ্চিমা দেশগুলির কপালে। একেবারে জোড়া ফলা নিয়ে তৈরি হচ্ছেন পুতিন। নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড-যুক্ত স্যাটান-২ আর ওরেশনিক মিসাইল। বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রযুক্তির এই ব্যবহারে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বহু দেশ। পড়শি দেশ ইউক্রেন শুধু নয়, পুতিন তাঁর আইসিবিএম তৈরি রাখছেন দূরের শত্রুদের জন্যও।
দেখুন আরও খবর: