নয়াদিল্লি: শুক্রবার হাথরস যাচ্ছেন লোকসভা বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বৃহস্পতিবার কে সি ভেনুগোপাল (K. C. Venugopal) জানিয়েছেন সম্ভবত শুক্রবারই হাথরস যাচ্ছে রাহুল গান্ধী। সেখানে গিয়ে পদপিষ্টে আহত ও মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলবেন রাহুল। ট্র্যাজেডিটিকে একটি ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা’ বলে অভিহিত করে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, মঙ্গলবার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ১২৩ জনের মৃত্যু হয়। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ছিল। লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী হাথরাসে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তিনি সেখানে যাবেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলবেন।
হাথরসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পার। এখনও ফেরার স্বঘোষিত গুরু ভোলে বাবা। বুধবার গভীর রাত থেকে ভোলে বাবার একাধিক আশ্রমে তল্লাশি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। আটক বেশ কয়েকজন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৩। তদন্তে সিটের পাশপাশি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন যোগী সরকারের। ভোলেবাবা যেমন পলাতক তেমনই খোঁজ নেই মূল গুরুর ডান হাত বেদপ্রকাশের। এই দুজনকে হাতে পেতেই মরিয়া উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরে ভোলে বাবার আশ্রম রামকুঠী চ্যারিটেবল ট্রাস্টে হানা দেয় ইউপি পুলিশের বিশেষ অপারেশন টিম। বুধবার প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা গড়িয়ে গেলেও আশ্রমে চলে তল্লাশি অভিযান। মৈনপুরের পাশাপাশি হাথরস, আলিগড়েও চলে তল্লাশি। ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনে আটক করেছে পুলিশ। আলিগড়ের ইনস্পেক্টর জেনারেল সলভ মাথুর বললেন, “ছয়জন, তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা গ্রেফতার হয়েছে। তারা সবাই আয়োজক কমিটির সদস্য এবং ‘সেবাদাস’ হিসেবে কাজ করত।”
আরও পড়ুন: হাথরস কাণ্ডে গ্রেফতার ৬, এফআইআরে নাম নেই ভোলেবাবার
হাথরসে সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ একাধিক। বেশ কয়েকটি মৃতদেহের পরিচয় জানা যায়নি। এখনও বহু মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাথরসের দুর্ঘটনার দায় কার? কেন এতো মানুষের জমায়েতের অনুমতি? ভিড় নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কেন ছিল না? কেন হাসপাতালে চিকিৎসার পরিকাঠামো ছিল না? এক দুর্ঘটনা। কিন্তু প্রশ্ন অনেক।
অন্য খবর দেখুন