মালদহ: রতুয়ায় জোরপূর্বক চাষের জমি দখল (Farmland Forceful Occupied) করে কাজ শুরু করার অভিযোগ পিএইচই দফতরের (PHE Department) বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘিরে কৃষকদের বিক্ষোভ। মালদহের (Malda) রতুয়ার (Ratua) দেবীপুর অঞ্চলের নাকাট্রি ব্রিজের কাছে আর্সেনিক প্লান্টের জলের প্রকল্প তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ১৫ দিন আগে সেই কাজের শিলান্যাস হয়েছে। সেখানে প্রায় ১৩ একর অর্থাৎ প্রায় ৪০ বিঘা জমির উপর এই প্রকল্প স্থাপিত তৈরি হবে। সেখানকার কৃষকদের অভিযোগ, তাদের কোন নোটিশ অথবা জমি একোয়া না করে তাদের জমি ঘিরে কাজ শুরু করেছে পিএইচই দফতর। সরকারি প্রকল্পকে সামনে রেখে এলাকায় ময়দানে নেমে পড়েছে দালালরা। তাদের জমির ন্যায্য দাম না দিলে তারা জমি ছাড়তে ছাড়তে নারাজ। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বড়সড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা।
জমি অধিগ্রহণ না করে জোরপূর্বক জমির ঘিরে কাজ শুরু করার অভিযোগ পিএইচই দফতরের বিরুদ্ধে। কৃষকরা রীতিমতো এই নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন। রতুয়া এক নম্বর ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাকাট্রি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা। স্থানীয় কিছু দালাল পিএইচই দপ্তরের সঙ্গে মিলে কৃষকদের থেকে সাদা কাগজে সই করে নিচ্ছে বলে কৃষকদের অভিযোগ। কৃষকদের বক্তব্য জোরপূর্বক জমি এই ভাবে নেওয়া যাবে না। আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের প্রকল্প এলাকায় হোক তারাও চাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে তারা জমি দিলে তার জমির দামও দিতে হবে। তাই কৃষকরা রীতিমতো আন্দোলনে নেমেছেন।
এদিকে জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। উত্তর মালদা বিজেপির সংসদ খগেন মুর্মু বলেন, পশ্চিমবাংলায় জোর জুলুম বাজি চলছে। জমি অধিগ্রহণ না করে কারও জমিতে কাজ করা যায় না। এরা কাউকে কোনও অধিকার দিতে চায় না। এরা সব সময় জোর জুলুম করে অধিকার পেতে চায়। এই বিষয়ে আমি ধিক্কার জানাচ্ছি প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জমি মালিকদের অধিকার দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: হাইটেক পদ্ধতিতে আলু চাষ
রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজয় কুমার সিনহা জানান, আর্সেনিক প্ল্যান্টের প্রকল্পের জন্য কৃষকদের নিজেরাই স্বেচ্ছায় জমি সরকারকে দিয়েছেন। এখানে জোরজবস্তি বা জোরপূর্বক ভাবে কেউ জমি অধিগ্রহণ করেনি। কৃষকদের জমির দাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তাদের জমি ঘিরে নেওয়া হয়েছে। বাধা দিলেও শোনা হচ্ছে না। নিয়ম মেনে সব কাজ হোক চাইছেন তারা। দালালদের হস্তক্ষেপ চাই না।
জেলা পিএইচই দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মুস্তাফা জানিয়েছেন,জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে রতুয়ার বালুপুর নাকাট্টি ব্রিজের কাছে আর্সেনিক মুক্ত প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। ফুলহর নদী থেকে জল টেনে সেখানে পরিশোধন করা হবে এরপর রতুয়া ১ ও ২ এবং চাঁচল ২ ব্লক এলাকায় জল সরবরাহ করা হবে। বালুপুর নাকাট্টি কাট্টা রোড এলাকায় জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। জমির মালিকদের অনুমতি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। আমাদের মিশন মুডে কাজ হচ্ছে তাই একটু দেরি হচ্ছে। সরকারি নিয়ম মোতাবেক জমির মালিকরা নিজেদের প্রাপ্য অবশ্যই পাবেন। জমি মালিকদের প্রত্যেককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। যাদের জমি নেওয়া হবে তারা কেউ বঞ্চিত হবেন না।
আরও অন্য খবর দেখুন