চন্দ্রকোণা: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে রাজ্যে লাগাতার ভারি বৃষ্টি। যার জেরে শিলাবতী নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। নদীর জল বাড়ায় প্লাবিত চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ টি গ্রাম। মনোহরপুর ১,মনোহরপুর ২,মানিককুন্ডু,মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল ঢুকে প্লাবিত। চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিংলাস,ভাতাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম ছাড়া পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক রয়েছে বলে ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে।তবে শিলাবতীর জলে ফের প্লাবিত চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রাম।ব্লকের ভবানীপুর,হিরাধরপুর,মানিককুন্ডু,ডিঙ্গাল সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গতবারের বন্যায় নদী বাঁধ ও বাঁধ সংলগ্ন যাতায়াতের রাস্তা ভেঙে গিয়েছিল। সেই সব ভাঙা বাঁধ মেরামতের কাজ না হওয়ায় ফের নদীর জল বেড়ে জল ঢুকে প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা।
ব্লকের মানিককুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর এলাকায় গতবারের বন্যায় ভেঙে গিয়েছিল শিলাবতী নদীর বাঁধ। সেই সংলগ্ন এলাকায় যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও ভেঙে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন ছিল যাতায়াত। গতবার জল কমতে প্রশাসনের তরফে অস্থায়ী ভাবে যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করা হলেও ভাঙা বাঁধ মেরামত হয়নি। যার জেরে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে লাগাতার ভারি বৃষ্টি আর তা তে নদীর জল বেড়ে গিয়ে ফের জল ঢুকছে ভবানীপুর এলাকায়। গতবার ভেঙে যাওয়া রাস্তা অস্থায়ী ভাবে মেরামত হলেও এবার সেই রাস্তা জলের তোড়ে ফের ভেঙে গিয়ে বিচ্ছিন্ন একাধিক গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ।
আরও পড়ুনঃ কম পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ,রেশন ডিলারকে শোকজ
গ্রামবাসীদের দাবি,গতবারের বন্যার পর তৎপরতার সঙ্গে ভাঙা বাঁধ মেরামত হলে পুনরায় এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।যদিও এবিষয়ে চন্দ্রকোণা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মহাদেব মল্লিক জানান,”গতবার বন্যার পর ভাঙা বাঁধ মেরামতের কাজ করা হলেও, ফের নদীর জল বেড়ে মেরামত হওয়া বাঁধ পুনরায় ভেঙে গিয়ে জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা। আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রশাসনের নজরে এনেছি। এই ভাঙা বাঁধ যাতে দ্রুততার সঙ্গে মেরামত হয় সে-নিয়ে প্রশাসনের সাথে আলোচনা করব,স্থায়ী ভাবে বাঁধ মেরামত না হলে পুনরায় এই পরিস্থিতি তৈরি হবে।”
চন্দ্রকোণার মানিককুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর,কাসকুলি,দিয়াসা গ্রাম প্লাবিত। জল ঢুকেছে বেশকিছু বাড়িতে। বাড়ি ছাড়া পরিবারের সদস্যরা। আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়ের বাড়িতে।কাসকুলি গ্রামের যাতায়াতের রাস্তার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল। জল পেরিয়ে চলছে যাতায়াত,জল ঢুকেছে গ্রামেও। চন্দ্রকোণায় নতুন করে ভাঙা বাঁধ দিয়ে নদীর জল ঢুকে ফের জলের তলায় বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি ও সবজি ক্ষেত,চরম ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা। এদিকে চন্দ্রকোণার শিলাবতী ও কেঠিয়া নদী রীতিমতো ফুঁসছে,কানায় কানায় জল চন্দ্রকোণার ক্ষীরপাই কেঠিয়া নদীতে।
দেখুন আরও খবরঃ