ওয়েব ডেক্স: পৃথিবীর সবথেকে ভিতরের অংশকে বলা হয় ‘ইনার কোর’। যা ক্রমশ তা একদিক থেকে বিকশিত হয়ে চলেছে। আর যা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন সমস্ত বিজ্ঞানীরা। আর এই পরিবর্তনের জেরে মানুষের জীবনযাপন ও পৃথিবীর ওপর কী প্রভাব পড়বে তা কিন্তু সকলেরই অজানা। এই পৃথিবীর ভূমিপৃষ্ঠের প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার নীচে অবস্থান করছে পৃথিবীর ‘ইনার কোর’। ১৯৩৬ সালে প্রথম খোঁজ মেলে ‘ইনার কোর’-র। তার আগে বিষয়টি কিন্তু অজানাই ছিল।
খুব আশ্চর্যের বিষয় হল ১০০ বছর ধরে গবেষণার পরও কিন্তু বিজ্ঞানীরা বুঝে উঠতে পারেননি এটি কবে আর কীভাবে তৈরী হয়েছে। আর এর রহস্য উদ্ঘাটন করতে বিশ্বের নামকরা সিসমোলজিস্ট বা ভূকম্পবিদ, মিনারেল ফিজিজিস্ট বা খনিজ পদার্থবিদ আর জিওডাইনেমেসিস্টরা গবেষণা করে চালাচ্ছেন। এই ভূকম্পনের গতিবিধি, তরঙ্গ এবং খনিজের ভৌত বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় বিষয় নিয়ে তাঁরা অধ্যয়ন করে চলেছেন ও পৃথিবীর ইনার কোরের বিষয়ে জানার চেষ্টা করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: ইজরায়েলের হামলা এবার আন্তর্জাতিক মানচিত্রে? ক্ষোভে ফেটে পড়ল আরব দেশগুলি
যা জানা যাচ্ছে, পৃথিবীর ইনার কোর লোহার তৈরি বলে জানা গেছে। এছাড়াও বিশ্বের বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিকেরা নতুন একটি পর্যবেক্ষণ করেন। আর সেই পর্যবেক্ষণে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ইনার কোরই নাকি ক্রমশ দিন দিন বিকশিত হচ্ছে। তবে যেটা চিন্তার বিষয় সেটা হল, শুধু একদিকেই তা ফুলে যেতে দেখা যাচ্ছে একে। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এতে ধারণা করা যেতে পারে ইনার কোরের সৃষ্টি, ও বয়সকালের সম্বন্ধে। এমনকি এর ফলে পৃথিবীর চুম্বকীয় শক্তির ইতিহাসও জানা যেতে পারে।
এক পর্যবেক্ষণের স্টাডি অনুযায়ী, এই তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, ইনার কোর এক অংশ সত্যি বেড়েই চলেছে। কিন্তু তা কেন আর কীভাবে? এর ফল ঠিক কী হতে পারে, সে বিষয়ে জানেন না বিশ্বের
বিজ্ঞানীরাও। আজ থেকে প্রায় ৪৫০ বছর আগে পৃথিবীর সৃষ্টি। আর কেন্দ্র সৃষ্টি হওয়া শুরু হয় ২০ কোটি বছর আগে।
দেখুন আরও খবর: ও খবর: