কলকাতা: শনিবার সকাল থেকেই সিকিমের (Sikkim) বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল তুষারপাত (Snowfall) শুরু হয়ছিল। প্রত্যাশা মতোই, তাপমাত্রার পারদ দ্রুত নেমেছে। ফলে সিকিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঢেকে গেছে বরফের চাদরে। উত্তর সিকিম থেকে পূর্ব ও পশ্চিম সিকিমেও এই তুষারপাত ছড়িয়ে পড়েছে। একইভাবে দার্জিলিংয়ের সান্দাকফুতেও বরফ জমতে শুরু করেছে। সমতলে যখন গরমের আবহ, তখন পাহাড়ে বরফের এমন রূপ পর্যটকদের জন্য দারুণ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবাই বরফ নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।
নতুন বছরের শুরুতেই সিকিম ও দার্জিলিংয়ে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বরফে ঢাকা পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশ-বিদেশের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে সান্দাকফুতে বরফের আস্তরণ দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা। তুষারের সাক্ষী হতে পেরে তারা আনন্দিত। ইতিমধ্যে সান্দাকফুতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে, সোমোগেতে যা আরও কমে ৩ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: তিন রাশির কপালে সিঁদুরে মেঘ! কী বলছে গ্রহের ক্যালকুলাস?
শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকায় শনিবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ দেখা গেছে। সমতলে গত কয়েক দিনের তুলনায় তাপমাত্রা ৫-৬ ডিগ্রি কমেছে, ফলে শীতের আমেজ বেড়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী কয়েকদিন এমন ঠান্ডা আবহাওয়া বজায় থাকবে এবং নামার সম্ভাবনাও রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি চলতে পারে। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, এমনকি ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে, যার ফলে জনজীবনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
ডুয়ার্সের মালবাজার, ওদলাবাড়ি, চালসা, লাটাগুড়ি ও গজলডোবায় ঝড়ের দাপটে একাধিক গাছ উপড়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ায় বেশকিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তরে অনুকূল বায়ুপ্রবাহ ও বঙ্গোপসাগর থেকে প্রবল আর্দ্রতার কারণে এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত এমন আবহাওয়া বজায় থাকতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: