ওয়েব ডেস্ক: দোল উৎসব (Holi 2025) মানেই নবদ্বীপ আর মায়াপুরের (Mayapur) পথে উন্মাদনা, কিন্তু এবছর সেই চিরচেনা ভিড় যেন হারিয়ে গিয়েছে। নবদ্বীপ মণ্ডল পরিক্রমা শুরু হলেও ভক্তদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। চৈতন্য জন্মস্থান আশ্রমের প্রধান অদ্বৈত দাস মহারাজের কথায়, “গত বছরের তুলনায় মাত্র ৪০ শতাংশ ভক্ত এসেছেন এবার। মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) এবং পড়শি দেশের অশান্তি এর বড় কারণ।”
এবছর পরিক্রমায় প্রতিদিন যেখানে হাজারের বেশি ভক্ত অংশ নিতেন, সেখানে এবার মেরেকেটে ৪০০-৫০০ জনের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। অনেকেই ভেবেছিলেন, এ বছর নবদ্বীপের দোল উৎসব আরও রঙিন হবে, কিন্তু ত্র্যহস্পর্শ দোষ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা মাটি করেছে সব আশার। নবদ্বীপ এবং মায়াপুরের মঠ-মন্দিরের প্রধানরাও ভিড় কম হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: কবে দোল? কবে হোলি? জানুন সঠিক তিথি
মায়াপুর ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাসের মতে, “আমাদের পরিক্রমায় বিদেশের বহু ভক্ত আগে থেকেই নাম নথিভুক্ত করেন। সেই হিসাবে পরিক্রমায় জনসংখ্যা ঠিকই আছে, কিন্তু দোলের সময় সাধারণত যেরকম ভিড় হয়, তা এবার নেই।” অন্যদিকে, কেশবজী গৌড়ীয় মঠের মধুসূদন ব্রহ্মচারী জানাচ্ছেন, “গত বছর ছ’হাজারের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছিলেন, এবার মাত্র আড়াই থেকে তিন হাজারের বেশি হবে না।”
মহাকুম্ভের ধকল, অর্থনৈতিক সংকট এবং বাংলাদেশের অশান্তির কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি। অদ্বৈত দাস মহারাজ বলেন, “বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ আসতেন, কিন্তু এখন তাঁরা আসতে পারছেন না।” নবদ্বীপ মহাপ্রভু মন্দিরের সেবায়েত গোস্বামীদেরও একই অভিমত। মন্দির পরিচালন সমিতির সম্পাদক জয়ন্ত গোস্বামী বলেন, “এবারের পরিক্রমায় উদ্যম, আবেগ সবই কম। যেন নিয়মরক্ষার মতো হচ্ছে।”
সর্বোপরি, ত্র্যহস্পর্শ দোষের কারণে এবারের দোল উৎসব যেন শুধুই এক নিষ্প্রাণ আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। নবদ্বীপ-মায়াপুরের রঙের উৎসব এবার ফিকে, আর এর প্রভাব চোখে পড়ছে ভক্তদের উপস্থিতিতেই।
দেখুন আরও খবর: