কোচবিহার: আজ থেকে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আট বছর পর কোচবিহারকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে আন্দোলনের পথে নামলেন সেখানকার বাসিন্দারা। প্রথমে জানানও হয় পৃথক রাজ্যের দাবিতে দীর্ঘ সময় ধরে চলবে এই আন্দোলন। কিন্তু আজ সকাল থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন বেলা ১২টা নাগাদই শেষ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রায় ৮০ ঘণ্টা ধরে উত্তরবঙ্গে চলেছিল রেল অবরোধ। তাই এবার প্রশাসন আগে থেকেই সতর্ক ছিল ‘রেল রোকো’ আন্দোলন বৃহত্তর হতে চলেছে এই আশঙ্কায়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, তার আগেই আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন, গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মণ। তিনি জানান, বেলা ১২টা নাগাদ আন্দোলন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার জেরে রেলের পক্ষ থেকে জানানও হয় দ্রুত উত্তর-পূর্ব রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভার সাংসদদের বৈঠকে আমন্ত্রণ পেলেন সুখেন্দুশেখর
কদিন আগেই গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদনের ঘোষণা করেন অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘রেল রোকো আন্দোলন’ -এর পথে নামতে চলেছেন তারা। যা শুরু হতে চলেছে আজ অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর থেকে। আর এই খবর সামনে আসার পরেই মঙ্গলবার রাত থেকেই গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সদ্যসরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জমায়েত শুরু করেন অসম-বাংলা সীমানায় জোড়াই রেলস্টেশনে। বুধবার ভোরবেলা থেকেই তারা আন্দোলন শুরু করেন। হাতে ফেস্টুন, পোস্টার নিয়ে স্লোগান তুলে বিক্ষোভে সামিল হন তারা। যার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল পরিষেবায় প্রভাব পরে। বাতিল হয় বহু ট্রেনও। তালিকায় ছিল, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, বঙ্গাইগাঁও নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস ইত্যাদি। ঘুরপথে যাত্রা করে ডিব্রুগড়-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, আনন্দবিহার অরুণাচল এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি এক্সপ্রেস এবং কামাখ্যা রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেস। এর প্রভাব পড়ে শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশনেও। সেখানে দাঁড়িয়ে যায় একের পর এক দুরপাল্লার ট্রেন। সকাল থেকেই প্রভাব পড়ে যায়। কিন্তু তারপর বেলা ১২টা নাগাদই উঠে যায় ‘রেল রোকো’ আন্দোলন।
দেখুন অন্য খবর