নয়াদিল্লি: একজনের তিন আধার কার্ডে (Aadhar Card) তিনটি আলাদা জন্ম তারিখ। আধার কর্তৃপক্ষ সহ অন্যরা গুরুতর প্রশ্নের মুখে। ক্ষুব্ধ পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। কীসের ভিত্তিতে জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে? কবে কার্ডগুলি ইস্যু করা হয়েছে? বিচারপতির সন্দীপ মুদগিল জবাব চেয়েছেন আধার কর্তৃপক্ষ ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক এবং আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের কাছে।
ধৃত মেয়েটির আধার তথ্য অনুযায়ী কোথাও নাবালিকা, কোথাও সাবালিকা। সমাজে এমন তথ্যের মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা। প্রয়োজনের মেয়েটির হাড়ের পরীক্ষা করতে হবে। তার বয়সের সঠিক তথ্য পেতে। অভিমত আদালতের। মেয়েটির সঙ্গে সমলিঙ্গ সম্পর্ক আরেকটি মেয়ের। সঙ্গিনীকে ফিরে পেতে অন্য মেয়েটির হাইকোর্টে আবেদন। ‘একসঙ্গে জীবন কাটাতে চাই’ জানালে পুলিশ অফিসার থাপ্পড় মেরেছে। সঙ্গিনীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ মামলাকারীর।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে ট্রেনে আগুন, মৃত্যু হল চারজনের
মামলাকারীর পেশ করা আধার অনুযায়ী সঙ্গিনীর জন্ম ২০০৪ সালের ১৫ জুন। অর্থাৎ নাবালিকা নয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপালের দেওয়া নথি পেশ করে পুলিশের দাবি, তার জন্ম ২০০৭-এর ২৫ আগস্ট। বাবা মায়ের কাছে ফিরে যাওয়া মেয়েটির পরিবারের দেওয়া আধারে জন্মের তারিখ ২০০৭ এর ১৫ জুন।
বিষয়টি জটিল এবং স্পর্শকাতর। একটি মেয়ের জীবন ও স্বাধীনতার প্রশ্নই শুধু নয়, এর প্রভাব পড়তে পারে সমাজে। খারাপ দৃষ্টান্ত তৈরি হতে পারে। তা যাতে না হয়, সেজন্য পাঁচকুলার পুলিশ কমিশনার, কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রক, ইউনিক আইডিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া অফিস- চন্ডিগড়কে এই আধার কার্ডগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। পরবর্তী শুনানিতে ধৃতকে এজলাসে হাজির করাতে হবে। মামলাকারী কোন আইনের ভিত্তিতে সঙ্গিনীকে ফিরে পেতে চান, সেটাও বিচার করে দেখতে হবে।
আরও খবর দেখুন