কলকাতা: বিরোধীদের আপত্তির মধ্যেও মঙ্গলবার লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয়েছে এক দেশ, এক ভোট বিল। ‘এক দেশ, এক ভোট’ (One Nation One Election) বিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সংসদের যৌথ কমিটিতে (জেপিসি) (JPC) দুই সদস্যের নাম চূড়ান্ত করল তৃণমূল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) ও সাকেত গোখেলকে (Saket Gokhale) জেপিসিতে পাঠাচ্ছে তৃণমূল। বুধবার তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলেকে কমিটির সদস্য হিসেবে পাঠানো হবে। যৌথ সংসদীয় কমিটিতে এক দেশ, এক ভোট বিলের বিরোধিতায় যুক্তি পেশ করবেন তৃণমূলের এই দুই সাংসদ।
শুক্রবার শীতকালীন অধিবেশন শেষ হচ্ছে। তার আগে কমিটি গঠন করতে রাজনৈতিক দলগুলিকে সদস্যের নাম প্রস্তাবের নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা। সেই মতোই তৃণমূলের তরফে এই কমিটির জন্য দুই সদস্যের নাম পাঠাল। জেপিসিতে মোট কতজন সদস্য থাকতে পারবেন, তার কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। কমিটির করা সুপারিশ সরকারকে মানতে হবে তাও নয়। সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেপিসিকে ২ মাসের সময় দেওয়া হবে তাদের রিপোর্ট তৈরি করার জন্য। এই কমিটি বিচার করবে ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত বিলে কোথাও কোনও সংশোধন বা সংযোজনের প্রয়োজন আছে কিনা। ওই কমিটি রিপোর্ট দিলে তারপর বিল দুটি পেশ হবে লোকসভায়। সেখানে পাশ হলে, রাজ্যসভা হয়ে বিল দুটি যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পরই আইনে পরিণত হবে বিলটি।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের চাপ বাড়াতে ফের রেল রোকো আন্দোলনে কৃষকরা
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কমিটি ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিল। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন বিজেপির ইস্তাহারে ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতির উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, এই নীতি দেশে চালু হলে ভোটের খবর কমবে। পাশাপাশি ভোট চলাকালীন নির্বাচনী আচরণ বিধির জেরে সরকারের কাজ থমকে থাকবে না। বার বার ভোট হলে উন্নয়নমূলক কাজ যায়। সরকারি কর্মীদের উপর থেকেও ভোটার তালিকা তৈরি ও ভোট সংক্রান্ত কাজকর্মের চাপ কমবে। এই তিন বিলের সাহায্যেই একই সময় লোকসভা এবং সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা, পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে উদ্যোগী বিজেপি সরকার। মঙ্গলবারই সংসদে পাশ হয় এই বিল।
অন্য খবর দেখুন