কলকাতা: রাজ্যের ২০ টি জেলার নদ -নদীতে ৬৬ লক্ষের বেশী মাছ ছাড়ার সিদ্বান্ত রাজ্যের মৎস্য দফতর (West Bengal Department of Fisheries)। মাছ যাতে নদীতে বাঁচে ও বংশ বৃদ্ধি করতে পারে সে জন্য মৎস্য দফতরের তরফে পৃথক নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে নদীতে মাছ ছাড়া হবে, সেই নদীর মাছ সংগ্রহ করে পার্শ্ববর্তী হ্যাচারিতে প্রতিপালন করে ডিম ফুটিয়ে চারা তৈরি করতে হবে। এরপর আঙুল সমান সাইজে বড় করে তা ছাড়তে হবে নদীতেই। রাজ্যের ২০টি জেলার বিভিন্ন নদীর ১৬০টি জায়গায় ৬৬ লক্ষ ৬০ হাজার মাছ ছাড়া হবে। এতে মোট খরচ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯৯ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। নদীর তালিকায় গঙ্গার পাশাপাশি রয়েছে শীলাবতী, সুবর্ণরেখা, কংসাবতী, কেলেঘাই, অজয়, দামোদর, কুমারী, দ্বারকেশ্বর, ময়ূরাক্ষী, হিংলো, ব্রাহ্মণী, ভাগীরথী, জলঙ্গি, চূর্ণি, তিস্তা, তোর্সা প্রভৃতি। রুই, কাতলা, মৃগেলসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জলের মাছ ওই নদীগুলিতে ছাড়া হবে। এজন্য হ্যাচারি চিহ্নিতকরণ, নদীর মাছ সংগ্রহ করে চারা তৈরি ও নদীতে মাছ ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতির ঠিক করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন নবান্নের
মৎস্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর ফলে মাছের মৃত্যুর হার কমার পাশাপাশি মাছ অনেক তাড়াতাড়ি বাড়বে। মৎস্য দফতর সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে থেকেই নদীতে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। বর্ষার সময় বাংলার বিভিন্ন নদীতে মাছ ছাড়া হয়। আগে টেন্ডার ডেকে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে মাছ সংগ্রহ করে তা নদীতে ছাড়া হত। চারামাছ উৎপাদনের ছোট-বড় পুকুর থেকে ওইসব এজেন্সি মাছ সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যেত। এরপর মৎস্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নদীতে মাছ ছাড়া হত। বহুদূর থেকে মাছ নিয়ে যাওয়ায় নদীতে ছাড়ার পর বেশকিছু মাছ মারাও যেত। পুকুরের মাছ হওয়ায় ওইসব চারামাছ নদীতে গিয়ে অনেক সময় খাপ খাইয়ে নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ত। তাই এবার প্রথম নদী থেকে মাছ সংগ্রহ করার পর, তা থেকেই ডিমপোনা ও চারা তৈরির কথা বলা হয়েছে।
মৎস্য দফতরের ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যে নদীতে মাছ ছাড়া হবে, সেই নদী লাগেয়া হ্যাচারিতে মাছের চারা তৈরি করতে হবে। আঙুলের সমান চারামাছ তেরি করতে হবে। ওই মাছ নদীতে ছাড়তে হবে। প্রতিটি মাছের খরচ ৩ টাকা করে ধরা হয়েছে।