কলকাতাঃ সবে মাত্র ঘূর্ণিঝড়(cyclone) দানার চোখ রাঙানি থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলা(Bengal,, ফের শিয়রে ঘূর্ণাবর্ত। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের(South Bay of Bengal) ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে অবস্থান করছে। ক্রমশ এটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম দিকে এগোবে। পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গোসাগরে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এর অভিমুখ থাকবে শ্রীলংকা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু।
ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে। এর প্রভাবে আজ থেকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ৩৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতি ঘন্টায় গতিবেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস হইবে। উত্তর তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন
দক্ষিণবঙ্গে আগামী চার-পাঁচ দিন তাপমাত্রা পরিবর্তনের সম্ভাবনা কার্যত নেই। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সামান্য বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বাড়ার কারণে সকালের দিকে কিছু কিছু এলাকায় সকালের দিকে কুয়াশা বা ধোঁয়াশার পরিস্থিতি তৈরি হবে।
আজ বুধবার মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা পূর্ব মেদিনীপুর দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা কিছু অংশে। বাকি জেলাতে মূলত পরিষ্কার আকাশ। বেলার দিকে কখনো আংশিক, মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা। নতুন করে তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা কম।
নভেম্বরের মাঝামাঝি আবহাওয়ার পরিবর্তনের ইঙ্গিত। পরিবেশ অনুকূল হবে উত্তরে হওয়ার প্রবেশের। নভেম্বরের শেষ দিকে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন পারদ শীতের আমেজের উপযোগী হওয়ার সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির খুব সামান্য সম্ভাবনা। বাকি উত্তরবঙ্গের কোনও জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে সকালের দিকে নিচের জেলা মালদা ও দুই দিনাজপুরে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
কলকাতায় শুষ্ক আবহাওয়া, বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা ও ধোঁয়াশা। মূলত আংশিক মেঘলা আকাশ। আগামী চার-পাঁচ দিন নতুন করে তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা নেই।
কলকাতার আজ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৪ ডিগ্রি। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৫৪ থেকে ৯৫ শতাংশ।
দেখুন অন্য খবর: