skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
Homeখেলামেসির পায়ে নয়, মার্টিেনেজের হাতে ভর দিয়ে ফাইনালে আর্জেন্তিনা

মেসির পায়ে নয়, মার্টিেনেজের হাতে ভর দিয়ে ফাইনালে আর্জেন্তিনা

Follow Us :

আর্জেন্তিনা–১, ৩           কলম্বিয়া–১, ২

লিওনেল মেসি ছিলেন।  ম্যাচের মধ্যে গোলও করিয়েছেন, নিজে গোলও করেছেন টাই ব্রেকারে। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আজের্ন্তিনা যে কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠল তার নায়ক তাদের গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। টাই ব্রেকারে তিনি তিনটি শট বাঁচিয়েছেন।  ডাভিনসন স্যাঞ্চেজ, ইয়েরি মিনা এবং এডউইন কডোর্নার পা থেকে বেরোন শট বাঁচিয়ে তিনি ম্যাচটা জিতিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্তিনাকে। তাদের হয়ে গোল করেছেন লিওনেল মেসি, লিয়েন্দ্রো পারদেশ এবং লওতারো মার্টিনেজ। শনিবার রাতে রিও দে জেনেরিও-র মারাকানা স্টেডিয়ামে আর্জেন্তিনা ফাইনালে খেলবে ব্রাজিলের সঙ্গে, যারা গতবারের চ্যাম্পিয়ন।

কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাসিলিয়ার স্টেডিয়ামে আর্জেন্তিনা যখন মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে এগিয়ে গেল তখন ভাবা যায়নি এই ম্যাচের ফয়সালা হবে টাই ব্রেকারে। মেসি বক্সের মধ্যে এত সুন্দরভাবে বলটা সাজিয়ে দিয়েছিলেন যে লওতারো মার্টিনেজের গোল করতে তেমন অসুবিধে হয়নি। এর পর প্রত্যাশামতোই ম্যাচের দখল নিতে শুরু করে আর্জেন্তিনা। কিন্তু প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে কলম্বিয়াও কিন্তু আস্তে আস্তে ম্যাচে থিতু হতে শুরু করে। এবং বেশ কয়েকবার তারা ঢুঁ মারে আর্জেন্তিনা ডিফেন্সে। কিন্তু নিকোলাস ওটেমন্ডির নেতৃত্বে আর্জেন্তিনা ডিফেন্স তাদের জায়গা দেয়নি। এই সময় মেসির কৃতিত্বে আর্জেন্তিনা বেশ কয়েকবার গোল করার জায়গায় চলে গিয়েও গোল পায়নি নিজেদের ব্যর্থতায়। তবে দু দলই মারকুটে ফুটবলের আশ্রয় নেয়। তাই গোটা ম্যাচে ৪৭টা ফাউল হয়েছে। হলুদ কার্ড দেখেছেন দশজন।

বিরতির পর কলম্বিয়া তিনটি পরিবর্তন করে দলে। মাঠে নামেন বোরে, তোসিলো কুয়েলার কার্দানো এবং ফাব্রা। এর পর তাদের আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ে। এবং এর ফল তারা পায় ৬১ মিনিটে যখন কার্দানোর পাস থেকে গোল করে যান লুইস দিয়াজ। এর পর দু দলই নিজেদের আক্রমণাত্মক ফুটবল বজায় রাখে। কিন্তু গোল হয়নি। বক্সের সামনে থেকে মেসির নেওয়া ফ্রি কিক-ও বাইরে যায়। কোপায় এবার নির্দ্ধারিত সময়ে ম্যাচ ড্র হলে অতিরিক্ত সময়ের খেলা নেই। তাই সরাসরি টাই ব্রেকার। এবং এখানেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ দেখালেন তাঁর জাদু। ২৮ বছর বয়সী এই গোলকিপারকে খুঁজে পেতে আর্সেনাল নিয়ে এসেছিল তাদের ক্লাবে। কিন্তু ভরসা করে তাঁকে খুব একটা সুযোগ দিতে পারেনি। এখানে ওখানে লোনে দেওয়া হত মার্টিনেজকে। সেখান থেকে গত বছর তিনি থিতু হয়েছেন অ্যাস্টন ভিলায়। এই মার্টিনেজের উপরেই ভরসা রেখেছিলেন আর্জেন্তিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। পেনাল্টি শট নেওয়ার আগেই কাজটা শুরু হয়ে যায় মাটিনেজের। যিনি শট নিতে আসছেন তাঁর সঙ্গে ফালতু কথা বলে মনোসংযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করেন মার্টিনেজ।

এর ফল তিনি পেয়েছেন। যে তিনজনই শট নষ্ট করেছেন তাঁদের সঙ্গে বকবক করে গেছেন মার্টিনেজ। একটা নয়, তিনটে পেনাল্টি শট বাঁচিয়েছেন তিনি। মনে করিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্তিনার জার্সি গায়ে ১৯৯০ সালের বিশ্ব কাপে সের্গেই গোয়কোচিয়ার একটার পর একটা ম্যাচে টাই ব্রেকারে পেনাল্টি সেভের কথা। মার্টিনেজের এই দুরন্ত পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত গোয়কোচিয়া টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এখন দেখার রবিবারের ফাইনালে মার্টিনেজরা তাঁদের অধিনায়ক মেসির হাতে ট্রফিটা তুলে দিতে পারেন কি না।

RELATED ARTICLES

Most Popular