প্রথম ম্যাচে আমেরিকার কাছে আট গোল এবং দ্বিতীয় ম্যাচে মরক্কোর কাছে তিন গোলে হারার পর অনূর্ধ্ব ১৭ মেয়েদের বিশ্ব কাপ থেকে ভারত আগেই বিদায় নিয়েছে। গ্রুপ লিগে তাদের শেষ ম্যাচ ছিল সোমবার ব্রাজিলের সঙ্গে। ভারতের সুইডিশ কোচ টমাস ডেনারবির খুব আশা ছিল ব্রাজিলের বিরুদ্ধে তাঁর মেয়েরা যেন একটা গোল করে। গত বছর ভারতের মেয়েদের সিনিয়র দল নিয়ে তিনি ব্রাজিল গিয়েছিলেন। সেদেশের মানাউস শহরে ভারত ছয় গোল গেলেও ব্রাজিলের জালে একটা বল ঢুকিয়েছিল। ভারত হেরেছিল ১-৬ গোলে। সোমবার ভুবনেশ্বরে ডেনারবির আশা পূরণ হয়নি। ভারত হেরে গেছে ০-৫ গোলে। বিরতির সময় ভারত পিছিয়ে ছিল ০-২ গোলে।
ব্রাজিল বলতে আমরা যা বুঝি অর্থাৎ স্কিলের ঘনঘটা, ড্রিবলিংয়ের চ্ছটা তা এই মেয়েগুলোর মধ্যে ছিল না। তবে পাসিং ফুটবলের চমৎকার নিদর্শন রেখে ব্রাজিল ভারতকে নাস্তানাবুদ করে দিল। ভারতের গোলকিপার মেলোডি চানু উচ্চতায় বেশ খাটো। তাই মাটির বল ধরাতে তিনি যথেষ্ট পারদর্শী হলেও উঁচু বলে একেবারেই বেমানান। বিরতির পর ব্রাজিল যে তিনটি গোল করল সেই তিনটিই হয়েছে উঁচু শটে, যার হদিশ খর্বকায় মেলোডি পাননি। ব্রাজিল তাদের প্রথম গোলটি করল ১১ মিনিটে। ডান দিক থেকে ভেসে আসা ক্রসে চমৎকার ভলি মেরে গোল করলেন গাবি বেরচন। ৪০ মিনিটে ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোল। ডান দিক থেকে চমৎকার ব্যাক সেন্টার রেখেছিলেন ফ্লাভিয়া। সেই বলটা বক্সের মধ্যে ধরে, তিন জন মার্কারকে এড়িয়ে গোল করলেন আ্যালিন গোমস আমারোর। বিরতির পর নিজের দ্বিতীয় গোলটা অ্যালিন করলেন বক্সের বাইরে থেকে প্রায় পঁচিশ গজ দূর থেকে নেওয়া উঁচু শটে। ব্রাজিলের শেষ দুটি গোল লারার। দুটিই উঁচু শটে। সারা ম্যাচে ভারত একবারই গোল করার মতো জায়গায় পৌছেছিল। কিন্তু শেষ ডিফেন্ডারকে টপকে নেহা তাড়াহুড়ো করে শট নিতে গিয়ে ব্রাজিলের গোলকিপার সোয়ারেসের হাতে তুলে দেন। এদিনে গ্রুপ এ-র অন্য ম্যাচে আমেরিকা ৪-০ গোলে হারিয়ে দিল মরক্কোকে। এই গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে গেল ব্রাজিল এবং আমেরিকা। দুই দলেরই পয়েন্ত সাত। তবে বেশি গোল করার জন্য গ্রুপে এক নম্বর হল আমেরিকা। ব্রাজিল হল দুই। বিদায় নিল ভারত ও মরক্কো।