গুরুগ্রামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই গোষ্ঠীর ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ক্যাম্পাস ছেড়ে বাইরে থাকছেন ষাট জনের বেশি নাইজেরীয় ছাত্র। ফুটবল মাঠে দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে ঘটনার সূত্রপাত। পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতীয় ছাত্রদের মধ্যে একটা বড় অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার-এর কাছে দাবি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যেন ওই বিদেশি ছাত্ররা তাঁদের হোস্টেলের ঘরেই ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেন। ফুটবল মাঠে এসে ধর্মগ্রন্থ পড়া তাঁরা মেনে নেবেন না।
এক নাইজেরীয় ছাত্রের দাবি, গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। সমস্যা মেটানোর জন্য ভারতীয় ও নাইজেরীয় ছাত্রদের একই টিমে রাখা হয়েছিল। কিন্তু নাইজেরীয় ছাত্রদের তরফে অনেকেই মাঠে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস অফিসারকে জানিয়ে দেন তাঁরা ভারতীয়দের সঙ্গে একসঙ্গে খেলতে রাজি নয়। নাইজেরীয়দের দাবি, এরপর তাঁদের উপর হামলা চালায় একদল ভারতীয় ছাত্র। বিদেশি ছাত্রদের অভিযোগ, সেদিনের মত ব্যাপারটা মিটে গেলেও পরের দিন আবার আক্রমণ চলে তাঁদের উপর।
পরের দিন অর্থাৎ শনিবার ফের হোস্টেলের মধ্যে নাইজেরীয় ছাত্ররা আক্রান্ত হলে সেদিনই তাঁরা ক্যাম্পাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। অপরদিকে ভারতীয় ছাত্রদের অভিযোগ, নাইজেরীয়দের সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। গত শনিবার তাঁরাই ক্যাম্পাসের মধ্যে আক্রান্ত হন। সুলতান খান নামে এক ভারতীয় ছাত্র সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন নাইজেরীয় তাঁর উপরে হামলা চালায়। বন্ধুরা এসে না বাঁচালে তাঁর আঘাত আরও গুরুতর হতে পারত। ঘটনার জেরে হোস্টেল ছাড়া নাইজেরীয় ছাত্ররা ইতিমধ্যে নাইজেরীয় দূতাবাসের সাহায্য চেয়েছে। দু’পক্ষের তরফে পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।