কাতার: বিশ্বকাপের (Qatar World Cup) মাঝপথে তড়িঘড়ি দেশে ফিরতে হল ইংল্যান্ডের (England) ফরোয়ার্ড রহিম স্টার্লিংকে (Raheem Starling)। না চোট নয়, স্টার্লিংয়ের বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাত পড়েছিল। সে সময় বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং ছোট সন্তানরা। তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে দ্রুত ইংল্যান্ডের প্লেন ধরলেন চেলসি তারকা।
সেনেগালের (Senegal) বিরুদ্ধে শেষ ষোলোর (Round Of 16) ম্যাচে এ কারণেই স্টার্লিংকে পাওয়া যায়নি। কোচ গ্যারেথ সাউথগেট (Gareth Southgate) বলছেন, স্ট্রাইকারটি ঠিক কবে ফিরবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। যত সময় দরকার তা স্টার্লিংকে দেওয়া হবে। সাউথগেট বলেন, কবে ফিরবে তা সত্যিই জানি না কারণ এখন ওর পরিবারের পাশে থাকা উচিত। এ নিয়ে আমি কোনও চাপ সৃষ্টি করতে চাই না। কখনও কখনও ফুটবলই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয় না, পরিবার অগ্রাধিকার পায়।
আরও পড়ুন: Qatar World Cup: সোনার বুট দরকার নেই, বিশ্বকাপ জেতাই এমবাপের একমাত্র লক্ষ্য
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেনও (Harry Kane) বিপদের দিনে টিম মেটের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। রাশিয়া বিশ্বকাপের (Russia World Cup) সর্বোচ্চ গোলদাতা বলেন, আমরা সবাই ওর পাশে আছি। কোনও সতীর্থ বা বন্ধু এমন পরিস্থিতিতে পড়তে দেখা সহজ নয়। আমি নিশ্চিত রহিম ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে ওর এবং ওর পরিবারের জন্য সবথেকে ভাল সিদ্ধান্ত নেবে। সেটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের তরফে শুভেচ্ছা এবং আশা করি যত দ্রুত সম্ভব ও ফিরে আসবে।
ইংল্যান্ডের প্রতি স্টার্লিংয়ের দায়বদ্ধতা প্রশ্নাতীত। তাঁর শিশুসন্তানরা বিপদে পড়ায় বাধ্য হয়েই বিশ্বকাপের আসর ছেড়ে দেশে ফিরতে হল। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে শুরু থেকে খেলেন স্টার্লিং, ইরানের বিরুদ্ধে একটি গোলও করেছিলেন। তৃতীয় ম্যাচে তাঁর জায়গা নেন মার্কাস র্যাশফোর্ড (Marcus Rashford)। সেনেগালের বিরুদ্ধেও তাঁকে প্রথম এগারোয় রাখতেন না সাউথগেট। ফলে স্টার্লিংয়ের অভাব ইংল্যান্ডকে বড় সমস্যায় পড়তে হবে এমন নয়।