কাতার: রাশিয়া বিশ্বকাপে (Russia World Cup) সেমিফাইনাল এবং ২০২০ ইউরো কাপে (Euro Cup ) ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল ইংল্যান্ড (England)। কিন্তু শেষ পদক্ষেপটা আর করা যায়নি। গ্যারেথ সাউথগেটের (Garetrh Southgate) ছেলেদের ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। এবার কি ট্রফি আসবে। বিশ্বকাপ ঘরে ফিরবে কি না তা পরের প্রশ্ন। আপাতত হ্যারি কেনদের (Harry Kane) মোকাবিলা করতে হবে ফ্রান্সের। আর ফ্রান্স (France) মানেই অবধারিতভাবে এসে পড়বে কিলিয়ান এমবাপের প্রসঙ্গ (Kylian Mbappe)।
এই বিশ্বকাপেও দুরন্ত ফর্মে এমবাপে। পাঁচ গোল করে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা। হরিণের মতো গতি, সর্পিল ড্রিবলিং এবং অপ্রতিরোধ্য ফিনিশিংয়ে বিপক্ষ দলগুলোর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন এমবাপে। তাঁর হাতেই এ ম্যাচের চাবিকাঠি। পিএসজি (PSG) তারকাকে আটকে রাখতে পারলে ইংল্যান্ডের কাজ অনেকটা সহজ হবে। আর এই আটকানোর কাজ রাইট ব্যাক কাইল ওয়াকারের (Kyle Walkar) কাঁধে।
আরও পড়ুন: Qatar World Cup: ইস্তফা ব্রাজিল কোচের, অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন নেইমারও!
মূলত বাঁ প্রান্ত দিয়ে খেলেন এমবাপে (Mbappe)। সেদিকে ইংল্যান্ডের প্রহরী ওয়াকার। এমবাপের গতি যদি হরিণের মতো হয়, পিছিয়ে থাকবেন না ওয়াকারও। এই মুহূর্তে বিশ্বের দ্রুততম ফুটবলারদের একজন তিনি। চেহারাও বড়সড় পেশিবহুল, ফলে বডি অ্যাডভান্টেজ পাবেন। তবে ওয়াকারের সমস্যা উল্টোপাল্টা ট্যাকল করে কার্ড দেখে বসেন। নেশনস (Nations League) লিগে লাল কার্ড দেখে ইংল্যান্ডকে ডুবিয়েছিলেন তিনি। আজ এই ভুল করা যাবে না।
খাতায় কলমে ফ্রান্সের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই ইংল্যান্ড। এই বিশ্বকাপে এক ম্যাচ গোলশূন্য শেষ করার সত্ত্বেও মোট ১২ গোল করা হয়ে গেছে তাদের। মাঝমাঠ জমাট, আক্রমণে দারুণ গতিসম্পন্ন প্লেয়াররা রয়েছেন। চিন্তা একটু ডিফেন্স নিয়ে। এমবাপে ছাড়াও ফ্রান্সের আক্রমণভাগে আছেন জিরু, গ্রিজম্যান দেম্বেলেরা। তাঁদের আটকানোই চ্যালেঞ্জ সাউথগেটের কাছে।