লন্ডন: সপ্তাহের মাঝামাঝি হয়ে গেল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (EPL) আরও এক রাউন্ড। মরসুমের মাঝামাঝি একমাস ধরে বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) চলায় যে ঘাটতি হয়েছে তা মেটাতে ঘন ঘন খেলা চলছে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে। ফুটবলারদের ক্লান্তি ও চোটের ঝুঁকি থাকলেও কিছু করার নেই। সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলতে গেলে এটা করতেই হবে।
ম্যাচ ডে ১৯-এ মাঠে নেমেছিল লিভারপুল (Liverpool), আর্সেনাল (Arsenal), ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের (Manchester United) মতো বড় দল। হেরেছে লিভারপুল, আর্সেনাল ড্র করেছে এবং জিতেছে ম্যান ইউ।
প্রথম ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ডের (Brentford) কাছে ৩-১ গোলে হেরে গেল জুর্গেন ক্লপের (Jurgen Klopp) লিভারপুল। অঘটন অবশ্যই তবে ব্রেন্টফোর্ড যথেষ্ট আধিপত্য নিয়ে খেলেছে। বারবার চাপে ফেলেছে লিভারপুলের রক্ষণকে। বিশেষ করে কর্নার উঠলেই নড়বড়ে দেখিয়েছে ভ্যান ডাইকদের। প্রথমার্ধ শেষ হতে তাঁকে তুলে নেন ক্লপ। রক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকবেন তিনি।
আরও পড়ুন: IND VS SL: শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্যমাত্রা ১৬৩
আর্সেনালের জয়যাত্রা থামিয়ে দিল নিউকাসল (Newcastle)। লিগ শীর্ষে থাকা গানারদের সঙ্গে তৃতীয় স্থানে থাকা সাদা-কালোদের গোলশূন্য ড্র হয়। অবশ্য আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতার (Mikel Arteta) এতে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যান সিটির (Man City) থেকে এখনও ৮ পয়েন্ট এগিয়ে তাঁরা। সিটি অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে।
এদিকে ইপিএলে টানা চার ম্যাচ জিতল ম্যান ইউ (Man U)। কোচ এরিক টেন হাগের (Eric Ten Hag) অধীনে ছন্দ ফিরে পেয়েছে ওল্ড ট্রাফোর্ডের (Old Trafford) ক্লাব। গত মরসুমে যাঁকে দেখে মনে হয়েছিল ফুরিয়ে গিয়েছেন সেই মার্কাস র্যাশফোর্ড নবজন্ম নিয়েছেন। রোজই গোল করছেন। এদিন বোর্নমুথকে ৩-০ গোল দেয় ম্যান ইউ। র্যাশফোর্ড ছাড়া গোল করেন ক্যাসেমিরো এবং লিউক শ। এই জয়ে লিগ টেবিলে চার নম্বর স্থানেই রয়ে গেলেন তাঁরা, তিন নম্বরে থাকা নিউকাসলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন।
 আরও এক রাউন্ড। মরসুমের মাঝামাঝি একমাস ধরে বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) চলায় যে ঘাটতি হয়েছে তা মেটাতে ঘন ঘন খেলা চলছে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে। ফুটবলারদের ক্লান্তি ও চোটের ঝুঁকি থাকলেও কিছু করার নেই। সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলতে গেলে এটা করতেই হবে। ){kind=link}