লাহোর: ভারত (India) পাকিস্তানে (Pakistan) খেলতে যেতে চায় না বলে প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারদের অনেক কথা বলতে শোনা যায়। এই তো, কিছুদিন আগেই জাভেদ মিয়াঁদাদ (Javed Miandad) বলছিলেন ভারত আগেও পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে ভয় পেত, এখনও পায়। সেজন্যই তারা পাকিস্তানে আসতে চায় না। এই সব বোলচাল দেওয়া মানুষগুলোর মুখে এবার চুনকালি পড়ল। পাকিস্তান সুপার লিগের (PSL) ম্যাচের জন্য লাহোরের (Lahore) গদ্দাফি স্টেডিয়ামে (Gaddafi Stadium) আটটি সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV Camera) বসানো হয়েছিল। সেই আটটিই চুরি গিয়েছে।
ক্যামেরা ছাড়াও চুরি হয়েছে ক্যামেরার ফাইবার কেবল, জেনারেটরের একাধিক ব্যাটারি। গুলবার্গ থানায় এই চুরির ঘটনায় দুটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা প্রদানকারী ক্যামেরাই যদি চুরি হয়ে যায়, সেখানে মিয়াঁদাদ কিংবা অন্যান্য প্রাক্তনদের বড় বড় কথা মানায় না।
আরও পড়ুন: Border-Gavaskar Trophy: তৃতীয় টেস্ট ইন্দোরে, এ মাঠে সেরা তিনটি ইনিংস কার কার, জানেন?
রগড়ের এখানেই শেষ নয়, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডির (Rawalpindi) মাঠে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে পাকিস্তানের পাঞ্জাব সরকার (Punjab Government) এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (PCB) মধ্যে ঝামেলা লেগেছিল। এই দুই জায়গায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ৫০০ মিলিয়ন পাকিস্তানি মুদ্রা (PKR) খরচ হয়েছিল। পাঞ্জাব সরকার ২৫০ মিলিয়ন দিতে সম্মত হয় এবং বাকিটা পিসিবিকে দিতে বলে। কিন্তু পিসিবি তাতে রাজি নয়। তাদের দাবি, ভেন্যুতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসনের দায়িত্ব। দুই পক্ষের টানাপড়েন ম্যাচ করাচিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলেও শোনা গিয়েছে।
এদিকে পিসিবির প্রাক্তন চেয়ারম্যান রামিজ রাজা (Ramiz Raja) আবার করাচিতে সব ম্যাচ নিয়ে যাওয়া নিয়ে খুশি নন। তিনি বলছেন, আলাদা আলাদা মাঠে খেলা না হলে প্রচুর পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হবে বোর্ডের। একই মাঠে পিএসএল-এর সব ম্যাচ খেলা হলে ফ্যানদের উন্মাদনা কমে যাবে। অবশ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া কোনও বড় টুর্নামেন্ট করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি। তো এই হল পাকিস্তান ক্রিকেটের অবস্থা।