skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
Homeখেলাভানুয়াতু ৮১ মিনিট পর্যন্ত আটকে রেখেছিল ভারতকে

ভানুয়াতু ৮১ মিনিট পর্যন্ত আটকে রেখেছিল ভারতকে

Follow Us :

ভারত–১    ভানুয়াতু–০

(সুনীল ছেত্রী)

আন্তঃ মহাদেশীয় কাপের ফাইনালে উঠে গেল ভারত। পর পর দুটো ম্যাচ জিতে ভারত এমন জায়গায় চলে গেল যে বাকি টিমগুলোর পক্ষে তাদের ছোঁয়া সম্ভব নয়। সোমবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ভারতের ম্যাচের আগে ছিল লেবানন-মঙ্গোলিয়া ম্যাচ। সে ম্যাচে ফিফা র‍্যাংকিংয়ে ১৮৩ নম্বরে থাকা মঙ্গোলিয়া গোল শূণ্য ড্র করতে বাধ্য করল ৯৯ নম্বরে থাকা লেবাননকে। আর ১৬৪ নম্বর থাকা ভানুয়াতুর বিরুদ্ধে গোল করতে ভারতকে অপেক্ষা করতে হল ৮১ মিনিট পর্যন্ত। অজ্ঞাতকুলশীল ভানুয়াতু ওশিয়ানিয়ার টিম। তারা খেলে নিউ জিল্যান্ড , ফিজি দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে। দেশটির জনসংখ্যা মাত্র তিন লক্ষ। তারাই এমন ফুটবল খেলল ভুবনেশ্বরের ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় যে জিততে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হল সুনীল ছেত্রীদের। তবে ম্যাচে ভারতের প্রাধান্য নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। বল পজেশনে তারা অনেক এগিয়ে (৬৮) ছিল। গোলে শটও অনেক। ১৪টা কর্নার এল ভারতের সামনে। কিন্তু গোল আর কিছুতেই হচ্ছিল না। ভানয়াতুর গোলকিপার যতটা নড়বড়ে ছিলেন তাদের ডিফেন্ডাররা ততটাই কঠিন ছিল। বক্সের মধ্যে অনায়াসে তারা বল কেড়ে নিয়েছে ভারতের ফরোয়ার্ডদের পা থেকে। শেষ পর্যন্ত সুনীল ছেত্রীর গোলে মান এবং ম্যাচ দুইই বাঁচল।

ভারতের কোচ ইগর স্টিমাক এদিন নতুন করে দল সাজিয়েছিলেন। গোলে ফিরে এলেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। চার ব্যাক প্রীতম কোটাল, সন্দেশ ঝিঙ্গন, মেহতাব সিং এবং শুভাশিস বসু। তিন মিডফিল্ডার রাওলিন বর্জেশ, রোশন কুমার এবং নাওরম মহেশ সিং। ফরোয়র্ডে সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে নন্দ কুমার এবং লিস্টন কোলাসো। সামনের দিকের ছয় জনের মধ্যে সব থেকে উজ্জ্বল ছিলেন মহেশ সিং। প্রথমার্দ্ধটা তাঁকে ব্যবহার করা হল ডান দিকে। মহেশ সাধারণত বাঁ দিকের উইং ধরে খেলতে ভালবাসেন। কিন্তু লিস্টন কোলাসো বাঁ দিকে থাকায় তাঁকে ডান দিকে খেলতে হল। মোহনবাগান আই এস এল চ্যাম্পিয়ন হলে কী হবে লিস্টনের অফ ফর্ম সারা মরসুমে কাটেনি। লিগ শেষ হয়ে গেছে প্রায় তিন মাস হতে চলল। লিস্টন এখনও অফ ফর্মের গেরো থেকে বেরোতে পারলেন না। নন্দ কুমার ওড়িশার ছেলে। গত মরসুম ওড়িশার হয়ে বেশ ভাল খেলেছিলেন। তারই পুরস্কার হিসেবে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। কিন্তু এখনও দেশের জার্সি পরে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার মতো জায়গায় নিয়ে যেতে পারেননি। তাই মাঝ মাঠের ছেলেরা অনেক বল সাপ্লাই দিয়েও গোলের জায়গা খুঁজে নিতে পারছিলে না সুনীলরা। ভানুয়াতু ডিফেন্স এবং মাঝ মাঠের ছেলেরা কড়া মার্কিংয়ে তাদের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে তাদের সামনের দিকে তেমন পেনিট্রেশন ছিল না। গুরপ্রীত প্রথম বলে হাত দিলেন আধ ঘন্টার মাথায়। বক্সের অনেক দূর থেকে নেওয়া একটা ফ্রিক ফিস্ট করতে হল তাঁকে।

গোল হচ্ছে না দেখে ঘণ্টাখানেকের মাথায় স্টিমাক এক সঙ্গে নামিয়ে দিলেন অনিরুদ্ধ থাপা, জিকসন সিং এবং সাহাল আব্দুল সামাদকে। একটু পরেই মাঠে ঢুকলেন ছাংতে। এবার টিমটা অনেক জমাট হল। অনিরুদ্ধ থাপা এবং ছাংতেকে বাদ দিয়ে এখন ভারতীয় দল হয় না। ওরা দুজন প্রথম একাদশে অবশ্যই থাকবেন। পরীক্ষা করতে গিয়ে তাদের প্রথম একাদশে না রাখাটা একটু বাড়াবাড়ি। শেষ পর্যন্ত ওদের নামার পর ভারতের আক্রমণ আরও জোরদার হল। বিশৈষ করে অনিরুদ্ধ থাপার ডিস্ট্রিবিউশন ছিল বলার মতো। এবং এভাবেই বক্সের মধ্যে ঝাঁঝ বাড়ল ভারতের। ৮১ মিনিটে বাঁ দিক থেকে শুভাশিস বসুর সেন্টার বক্সের মধ্যে ড্রপ খেতেই অরক্ষিত সুনীল ছেত্রী বাঁ পায়ের ভলিতে গোল করলেন। তার আগে গোল করার মতো বল পেয়েও তিনি অনেক বার ব্যর্থ হয়েছেন। তবে সারাক্ষণ চেষ্টা করে গেছেন, এটা বলতেই হবে। গোলের পর গ্যালারিতে বসা স্ত্রী সোনমের দিকে উড়ন্ত চুম্বন দিলেন এবং তা ফেরতও পেলেন ভারত অধিনায়ক। ম্যাচের শেষে দেখা গেল তিনিই ম্যাচের সেরা। আন্তর্জতিক ফুটবলে তাৃঁর গোল হয়ে গেল ৮৫। ১৫ জুন ভারতের খেলা লেবাননের সঙ্গে। সে ম্যাচে ভারত হারলেও ফাইনালে যাওয়া আটকাচ্ছে না। ভারতকে সুবিধে করে দিয়েছে মঙ্গোলিয়া। 

RELATED ARTICLES

Most Popular