ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা শহরের বুকে পরপর দুটো দিন দারুণ কাটল সঞ্জীব গোয়েঙ্কার। সোমবার আপুইয়ার শেষ মুহূর্তের গোলে ফাইনালে উঠেছিল তাঁর ফুটবল ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan SG)। আজ কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (KKR) চার রানে হারাল তাঁর ক্রিকেট দল লখনউ সুপার জায়ান্টস (LSG)। ঘরের মাঠে হেরে নাইট শিবির কিন্তু চাপে। ২৩৯ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র চার রানে হারলে খারাপই লাগে।
কিন্তু এই হারের কারণ কী? একটা নয় কারণ বিবিধ। একবার আলোচনা করা যাক।
প্রথমত, বোলারদের ব্যর্থতা। বরুণ চক্রবর্তী (Varun Chakravarty) এবং বৈভব অরোরা ছাড়া বাকিরা মাত্রাতিরিক্ত রান দিয়ে ফেলেছেন। এলএসজিকে ২২০ পর্যন্ত আটকে রাখলেও ম্যাচ জেতা যেত।
দ্বিতীয়ত, স্পেনসার জনসনকে খেলিয়ে যাওয়ার অদ্ভুত সিদ্ধান্ত। প্রতি ম্যাচেই বেধড়ক ঠাঙানি খাচ্ছেন, এমনও নয় ব্যাট হাতে কিছু করে দেখাতে পারবেন। মইন আলি ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন, ব্যাট বল দুটোই করেন পারেন, তাঁকে খেলানো হল না। আনরিখ নর্খিয়াকেই বা না খেলানোর কারণ বোধগম্য হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: লড়াই করেও হার, চাপে KKR
তৃতীয়ত, ব্যাটিং অর্ডারে অপ্রয়োজনীয় ‘শাফলিং’। চারে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে নামানো পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু পাঁচে রামনদীপ সিংকে নামানোর কোনও যুক্তি নেই। বিশেষ করে যেখানে অঙ্গকৃশ রঘুবংশী চার নম্বরে ধারাবাহিকতা দেখাচ্ছেন। রামনদীপকে খামোখা সামনে এনে ম্যাচের মোমেন্টাম নষ্ট হল।
চতুর্থত, আন্দ্রে রাসেলের ধারাবাহিক ব্যর্থতা। আজ তাঁর জন্য মঞ্চ তৈরি ছিল। কিন্তু একটা ফুলটস বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন তিনি। টুকটাক বোলিং করলেও তাঁর আসল কাজ ব্যাট হাতে ঝড় তোলা। কিন্তু বহুদিন হল সেই ঝড় ওঠে না।
পঞ্চমত, ইডেনের পিচ। বল স্পিন করে, একটু মন্থর এমন উইকেট নাইটদের জন্য উপযুক্ত, সেটাই দলের শক্তি। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে সেরকম উইকেট পেয়েই ৮০ রানে জয় এসেছিল। কিন্তু ইডেনে আজ আবার লাহোর, রাওয়ালপিন্ডির মতো পাটা পিচ।
দেখুন অন্য খবর: