কলকাতা: ৯৯-এর সেমিফাইনালে বার্মিংহ্যামের মাঠে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচকে এখনও সর্বকালের সেরা ওয়ান ডে ম্যাচ বলে মনে করা হয়। কী ছিল না সেই ম্যাচে? মাইকেল বেভানের মরিয়া লড়াই, শেন ওয়ার্নের জাদুকরী স্পেল, লান্স ক্লুজনারের বিধ্বংসী ব্যাটিং এবং অ্যালান ডোনাল্ডের অদ্ভুত রান আউট হয়ে ম্যাচ টাই, অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে চলে যাওয়া। খেলার পরতে পরতে উত্তেজনা। বৃহস্পতিবারের ইডেন গার্ডেন্স কি বার্মিংহ্যামের থেকে পিছিয়ে থাকবে? মনে তো হয় না।
ক্রিকেটের নন্দন কানন আবারও এক অবিস্মরণীয় ম্যাচের সাক্ষী থাকল। বার্মিংহ্যামের মতোই ম্যাচের মোড় ঘুরতে থাকল। একবার মনে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, জিতবে, পরক্ষণেই দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু স্নায়ুর চাপ সামলে ফাইনালে গেল সেই অস্ট্রেলিয়াই। আগামী রবিবার নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি প্যাট কামিন্স অ্যান্ড কোং। এই নিয়ে আটবার একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে অজিরা। আরও একবার ‘চোকার্স’ তকমা গায়ে নিয়ে দেশে ফিরবেন প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুন: সোনালি মুহূর্তের কোলাজে সমৃদ্ধ মায়ানগরী!
ম্যাচটা কোথায় হারল দক্ষিণ আফ্রিকা?
And then there were two ?? ??
Presenting the #CWC23 finalists ? pic.twitter.com/2FZmIXb3TG
— ICC Cricket World Cup (@cricketworldcup) November 16, 2023
প্রথমত, কলকাতার মেঘলা আকাশ অজি পেসারদের দারুণভাবে সাহায্য করল। প্রথম ১০ ওভারে প্রোটিয়ারা মাত্র ১৮ রান করে। ২৪ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল আফ্রিকানদের। দ্বিতীয়ত, মোক্ষম সময়ে ডেভিড মিলারের আউট হওয়া। তিনি শেষ অবধি থাকলে আরও ২০ রান হত। তৃতীয়ত টেম্বা বাভুমাদের একের পর এক ক্যাচ মিস। ট্রাভিস হেডের ক্যাচ স্লিপে দাঁড়িয়ে হেনরিখ ক্লাসেন না ছাড়লে এই ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।
সবশেষে এটাই বলা যায়, বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের পেডিগ্রি আরও একবার প্রমাণ করল অজিরা। দাঁতে দাঁত চেপে, স্নায়ুযুদ্ধ জিতে ম্যাচ বের করল তারা। গোটা ইডেন প্রোটিয়াদের হয়ে গলা ফাটাচ্ছিল, পিচে বল ঘুরছে বনবন করে, কেশব মহারাজ, তবরেজ শামসিদের বলে ব্যাট ছোঁয়ানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তাও আত্মবিশ্বাসে ভর করে বৈতরণী পার করল অজিরা।