ওয়েব ডেস্ক: এফএ কাপের (FA Cup) চতুর্থ রাউন্ডে প্লিমাউথ আর্গাইলের (Plymouth Argyle) কাছে হেরে বিদায় নিল লিভারপুল (Liverpool FC)। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই উত্তেজিত ধারাভাষ্যকার বললেন, এফএ কাপের আধুনিক যুগের সবচেয়ে বড় অঘটন এটাই। ২০২৪-২৫ মরসুমে গোটা ফুটবল দুনিয়ায় এটা সবথেকে বড় অঘটন তাতে সন্দেহ নেই। কোয়াড্রুপলের স্বপ্ন দেখা লিভারপুল ক্লাব এবং তার সমর্থকরা বিরাট ধাক্কা খেল রবিবার।
প্লিমাউথ চ্যাম্পিয়নশিপ অর্থাৎ প্রিমিয়ার লিগের নীচের সারির দল। তাও আবার সেই লিগের তলানিতে অবস্থান করছে। অন্যদিকে ফর্মের বিচারে লিভারপুল এই মুহূর্তে ইউরোপের এক নম্বর বললে ভুল হয় না। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (Champions league) লিগ ফেজে আট ম্যাচের সাতটিতে জিতেছে তারা। প্রিমিয়ার লিগে (Premier League) অন্যদের থেকে অনেকটা এগিয়ে থেকে শীর্ষে আর্নে স্লটের (Arne Slot) দল। ওঠা হয়ে গিয়েছে কারাবাও কাপের ফাইনালে। ইংল্যান্ড এবং ইউরোপের তাবড় টিমদের ধরাশায়ী করা দলের শেষ পর্যন্ত পচা শামুকে পা কাটল।
আরও পড়ুন: টি–টোয়েন্টির পর এবার একদিনের সিরিজও ভারতের নামে
This. This is what it’s all about. ⚽️
An incredible day for @Argyle 💚#EmiratesFACup pic.twitter.com/XlolzzoheA
— Emirates FA Cup (@EmiratesFACup) February 9, 2025
স্লট একেবারে নিম্নমানের দল নামাননি। দিয়োগো জটা, লুইস দিয়াজরা ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আক্রমণে ছিলেন ফেদেরিকো কিয়েসা। কিন্তু এই কম্বিনেশন প্লিমাউথের রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি। উল্টে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বিপদ ঘটে। বক্সের মধ্যে প্লিমাউথ খেলোয়াড়ের শট হার্ভি এলিয়টের হাতে লাগে। ভার-এর সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন রেফারি। প্লিমাউথকে ১-০ এগিয়ে দেন স্ট্রাইকার রায়ান হার্ডি। ম্যাচের বয়স তখন ৫৩ মিনিট।
গোল শোধ করতে ডারউইন নুনেজকে (Darwin Nunez) নামিয়েছিলেন স্লট, কিন্তু লাভ হয়নি। শেষের দিকে প্লিমাউথের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান তাদের গোলকিপার কনর হ্যাজার্ড। ম্যাচের একদম শেষ লগ্নে ৬ গজ দূর থেকে নুনেজের হেড অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় বাঁচিয়ে দেন তিনি। লিভারপুলের হার ওখানেই নিশ্চিত হয়ে যায়।
দেখুন অন্য খবর: