skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
Homeখেলাআবার কোপা ফাইনালে ব্রাজিল, ম্যাচের সেরা নেমার

আবার কোপা ফাইনালে ব্রাজিল, ম্যাচের সেরা নেমার

Follow Us :

ব্রাজিল–১             পেরু–০

(লুকাস পাকুয়েতা)

পর পর দুবার কি কোপা আমেরিকা জিতবে ব্রাজিল?

এর উত্তর জানার জন্য রবিবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ সেদিনই কোপার ফাইনাল। তার আগে সোমবার রাতে রিও দে জেনেইরোর নিলসন স্যান্টোস স্টেডিয়ামে ব্রাজিল ফাইনালে চলে গেল পেরুকে হারিয়ে। ৩৫ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন মিডফিল্ডার লুকাস পাকুয়েতা। তবে সারা ম্যাচ দাপিয়ে খেলে ম্যাচের সেরা কিন্তু নেমারই। কেন তাঁকে এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার বলা হয় তা এদিন বার বার বোঝালেন প্যারিস সাঁ জাঁমার এই ফুটবলার। ফাইনালে আর্জেন্তিনাকেই চাইছেন নেমার। তবে তার আগে মঙ্গলবার রাতে আর্জেন্তিনাকে জিততে হবে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে।

পেরু লাতিন আমেরিকা ফুটবলে বেশ বড় শক্তি। গতবারও তারা ফাইনালে উঠেছিল। তবে হেরে যায় ব্রাজিলের কাছে। সেই ব্যাপারটা তিতের ছেলেদের মাথায় ছিল। তাই কিক অফ-এর সঙ্গে সঙ্গে তারা পেরুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আট মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যেতে পারত ব্রাজিল। পেনাল্টি বক্সে পাকুয়েতার চমৎকার পাস ধরে রিচার্লিসন খুঁজে নেন নেমারকে। কিন্তু তাঁর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সেই শুরু। এর পর থেকে ব্রাজিলের আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ে পেরুর উপর। পাঁচ মিনিট পরে কাসেমিরোর বুলেট গতির ফ্রি কিক কোনও রকমে বাঁচান পেরুর গোলকিপার। বল তাঁর গ্লাভসে লেগে ছিটকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু ফিরতি বলটা গোলে রাখতে পারেননি এডেরসন। এর একটু পরেই রিয়াল মাদ্রিদের কাসেমিরো আরেকটি ফ্রি কিক নেন। সেটা ধরে পাকুয়েতা বল বাড়ান ছয় গজের মধ্যে নেমারের জনয়। কিন্তু তাঁর শট ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচান পেরুর গোলকিপার পেদ্রো গালেসে। এই গালেসের জন্য পেরু একটার বেশি গোল খায়নি। একটার পর একটা সেভ করেছেন তিনি।

তবে ৩৫ মিনিটে ব্রাজিলীয় মুন্সিয়ানার কাছে হার মানতে হয় তাঁকে। বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে নেমার বক্সে ঢুকে পড়েন। তাঁর পিছনে তখন পেরুর তিনজন ডিফেন্ডার। এবং এই সময় নেমার বোঝালেন কেন তিনি বিশ্বসেরাদের মধ্যে পড়েন। ওই তিনজন ডিফেন্ডারের মধ্যে পড়ে যেতে যেতে নেমার বলটা ডান পায়ে বাড়িয়ে দেন ফাঁকায় থাকা পাকুয়েতার জন্য। বল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অলিম্পিক লিওঁর মিডফিল্ডার পাকুয়েতা বাঁ পায়ের ভলিতে গোল করেন। পর পর দুটি ম্যাচে গোল করলেন তিনি। চিলির বিরুদ্ধে প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর গোলেই জিতেছিল ব্রাজিল।

বিরতির পর পেরু দুটো পরিবর্তন করে। মার্কোস লোপেজ এবং রাজিয়েল গার্সিয়া মাঠে নামায় পেরুর আক্রমণের গতি বাড়ে। তারা বেশ কয়েকটি আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে ব্রাজিলের পেনাল্টি বক্সে। কিন্তু সতর্ক ছিলেন গোলকিপার এডেরসন। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির এই গোলকিপারের জন্য ব্রাজিলের গোল অক্ষত ছিল। শেষ দিকে আবার ব্রাজিলের আক্রমণ বাড়ে। কিন্তু তারা আর গোল পায়নি। ব্রাজিলের মিডফিল্ড এবং অ্যাটাকিং লাইন খুবই ভাল খেলছে এবার। নেমারের পাশে গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রিচার্লিসন, রবের্তো ফিরমিনো, কাসেমিরো, রিচার্লিসন এবং এভার্টনকে নিয়ে সামনের দিকটা দুর্দান্ত ব্রাজিলের। ডিফেন্স যদি ঠিক থাকে তাহলে এবারও কোপা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অপেক্ষায় ব্রাজিল।

RELATED ARTICLES

Most Popular