skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
Homeখেলা৬০ বছরে প্রথমবার ফাইনালে ইংল্যান্ড

৬০ বছরে প্রথমবার ফাইনালে ইংল্যান্ড

Follow Us :

৬০ বছরের ইউরো কাপের ইতিহাসে প্রথমবার ফাইনালে ইংল্যান্ড| ওয়েম্বলিতে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল গ্যারেথ সাউথগেটের দল| ইউরো কাপ ট্রফি আর ইংল্যান্ডের মধ্যে দুরত্ব এখন শুধু এক ম্যাচের|

ইউরোর শুরু থেকেই এবার দুরন্ত ছন্দে ছিল ব্রিটিশ বাহিনী| ফেভারিটের তকমাও ছিল তাদের গায়ে| কেন, স্টার্লিং এবং শাকাদের হাত ধরে ব্রিটিশ ফুটবলের সূর্য যে এখন মধ্য গগণে তা বলাই যায়|

ডেনমার্ক কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী| লড়াইটা যে হাড্ডহাড্ডি হবে তার আভাস আগে থেকেই ছিল| হলও তাই| শুরু থেকেই ছিল আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের ঝড়|

ইংল্যান্ডের উইং নির্ভর আক্রমণাত্মক ছকে শাকা, স্টার্লিং যদি বারবার বিপদে ফেলে ড্যানিসদের, তবে ডলবার্গ, ড্যামসগার্ডও কম ছিলেন না| শুরুর দিকে ইংলিশ রক্ষণকে চিরে বারবার এগিয়ে গেছে তারা|

ম্যাচের ৩০ মিনিটে ড্যামসগার্ডের চোখ ধাধানো ফ্রিকিক| পিকফোর্ড চেষ্টা করলেও, তা আটকানো সম্ভব ছিল না| ওয়েম্বলিতে ব্রিটিশ সমর্থকদের চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল| যদিও সেই নিস্তব্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি স্টার্লিং, কেনরা|

গোল খাওয়ার পর থেকেই খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো ডেনমার্ক গোলের দিকে তেড়ে যান স্টার্লিংরা| ৩৮ থেকে ৩৯ মিনিট ব্যবধানটা এক মিনিটের হলেও, ৪৮ সেকেন্ডের মধ্যে পরপর দুটো আক্রমণ| একশোটার মধ্যে ৯৯ টা গোলই রহিম স্টার্লিং যেখান থেকে করেন, প্রথমটা মিস করলেন সেখান থেকেই|

চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই পরের আক্রমণ| হ্যারি কেনের থ্রু পাস শাকার উদ্দেশ্যে| ডান দিক থেকে শাকার ক্রস| স্টার্লিং ডেনমার্ক অধিনায়ক জটলার মধ্যে থেকে বল গোলে ঢুকে যায়| সমতায় ফেরার উল্লাস তখন ব্রিটিশ গ্যালারিতে| স্টার্লিংও উচ্ছ্বাসে মেতেছেন গোল করার আনন্দে, কিন্তু রিপ্লেতে স্পষ্ট ডেনমার্ক অধিনায়কের আত্মঘাতী হাঁটু স্বস্তি ফিরিয়ে দিল সাউথগেটের দলকে|

বিরতির পর শুরু থেকেই ডেনমার্ক যে রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েছিল, সেটা স্পষ্ট কোচের পরবর্তনে| এই মুহূর্তে দলের দুই সেরা স্ট্রাইকারকে তুলে নেন তিনি| গোটা দ্বিতিরার্ধটা খেলা হল ড্যানিলসদের বক্সেই| ইংল্যান্ড চাপ তৈরি করলেও গোল হয়নি| খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে|

অতিরিক্ত সময়েও ড্যানিসদের স্ট্র্যাটেজি একই| ব্রিটিশদের শরীরি ভাষা অবশ্য অন্য কথাই বলছিল| তারা যে ম্যাচ টাই ব্রেকার পর্যন্ত নিয়ে যেতে চাননা, তা বেশ স্পষ্ট ছিল| প্রতিপক্ষ শিবিরের দুর্ধর্ষ ফর্মে থাকা গোলরক্ষক স্কিমিচেলই হয়ত তার প্রধান কারণ|

অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে স্টার্লিংয়ের ভয়ঙ্কর আক্রমণ আটকাতে বক্সেই তাঁকে ফাউল করেন ডনমার্কের ডিফেন্ডার| পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড| দুরন্ত ফর্মে থাকা স্কিমিচেলকে অবশ্য একবারে পেড়োতে পারেননি হ্যারি কেন| পেনাল্টি বাঁচিয়ে দেন তিনি, তবে সেই ফিরতি বলই জালে জড়িয়ে দেন কেন| সেইসঙ্গে ইউরো কাপে প্রথমবার ফাইনালের টিকিটও পাকা হয়ে যায় ব্রিটিশদের|

১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ইংল্যান্ডের ক্যাবিনেটে আর কোনও ট্রফি নেই| ৫৫ বছর পর সেই সুযোগ এসেছে| ইটস কামিং হোম| এবারের ইউরোয় এটাই স্লোগান কেনদের| ফাইনালের শেষে লন্ডন নাকি রোম কোথায় যায় ইউরো ট্রফি, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে|

RELATED ARTICLES

Most Popular