১২ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ভাল পারফরম্যান্স খেলে বিশ্ব ক্রিকেটের উজ্জ্বল নাম হয়ে উঠেছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin)। সেই অশ্বিন আজ, শনিবার ৩৬ বছর পূর্ণ করলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নানা রেকর্ড তাঁর ঝুলিতে। লাগে উইকেট, দেবে অশ্বিন-মন্ত্রটা এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। ১৯৮৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের মামবালামে জন্ম অশ্বিনের।
ছোটবেলা ওপেনার ব্যাটার হিসেবে খেলা অশ্বিন বল করা শুরু করেন ১৪ বছর বয়স থেকে। সেই সময় গুরতর চোট পেয়ে দু মাস বিছানায় পড়ে থাকার পর যখন মাঠে ফেরেন তারপর থেকে স্পিনার হিসেবে খেলা শুরু করেন। তাঁর আদর্শ হলেন অনিল কুম্বলে।
আসুন দেখে নেওয়া যাক অশ্বিনকে নিয়ে কিছু জানা অজানা তথ্য–
১) ২৫৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৬৫৯টি উইকেট। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত টেস্টে নিয়েছেন ৪৪২টি, ওয়ানডে-তে ১৫১টি, ও আন্তর্জাতিক টি-২০তে ৬৬টি উইকেট।
২) অনিল কুম্বলের (৬১৯) পর টেস্টে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হলেন অশ্বিন।
৩) ২০১১ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হওয়ার পাশাপাশি ২০১৩ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতেছেন অশ্বিন।
৪) শুধু বল নয়, ব্যাটেও ক্যারিশ্মা দেখিয়েছেন অশ্বিন। টেস্টে পাঁচটা সেঞ্চুরি আছে তাঁর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪ হাজার রান করার মাইলস্টোনের কাছে দাঁড়িয়ে তিনি।
৫) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অশ্বিনের প্রথম উইকেট শিকার ছিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটার উপল থারাঙ্গা। ২০১০ সালের ৫ জুন হারারাতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল অশ্বিন। ভারত সেই ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরেছিল। অভিষেক ম্যাচে অশ্বিন ২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৩৮ রান করেছিলেন। অশ্বিনের সঙ্গে একই দিনে অভিষেক হয়েছিল নমন ওঝা ও পঙ্কজ সিং-য়ের।
৬) অভিষেক টেস্টেই ম্যান অফ দি ম্যাচ হওয়ার নজির আছে অশ্বিনের। ২০১১ সালে দিল্লিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টে অশ্বিন প্রথম ইনিংসে তিনটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ জেতানো ৬টি উইকেট নেন। অশ্বিনের প্রথম টেস্ট উইকেটটা ছিল ক্যারিবিয়ান ব্যাটার ডারেন ব্রাভো।
৭) টেস্টে দ্রুততম ৩০০ উইকেটের মালিক অশ্বিন। মাত্র ৫৪টি টেস্ট খেলে এই মাইলস্টোনে পৌঁছন তিনি।
৮) একই টেস্টে পাঁচ উইকেট নেওয়া ও সেঞ্চুরি করেছেন দু বার। এই অনন্য রেকর্ড কোনও ভারতীয়র নেই।
৯) টেস্টে এখনও পর্যন্ত মোট ৬বার ম্যান অফ দি সিরিজ হয়েছেন অশ্বিন। সচিন তেন্ডুলকর, বীরেন্দ্রে সেওয়াগের থেকেও বেশিবার টেস্টে ম্যান অফ দি সিরিজ হয়েছেন তিনি।