ম্যাঞ্চেস্টার: গত রবিবার চির-শত্রু লিভারপুলের (Liverpool) হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United)। অ্যানফিল্ড (Anfield) স্টেডিয়ামে সাত গোল খেয়েছিল তারা। তা নিয়ে ট্রোলিং, মিম এখনও চলছে। বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপা লিগের ম্যাচে ওই দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে এরিক টেন হাগের (Eric Ten Hag) দল স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে কি না সেটাই ছিল দেখার। স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল বেতিসকে (Real Betis) ৪-১ হারিয়ে সসম্মানে সেই পরীক্ষায় পাশ করলেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজ (Bruno Fernandez), মার্কাস র্যাশফোর্ডরা (Marcus Rashford)। লিভারপুল ম্যাচের জ্বালা কিছুটা হলেও জুড়ালেন।
ওল্ড ট্রাফোর্ডের (Old Trafford) মাঠে এদিন বেশ তুষারপাত হচ্ছিল। তীব্র ঠান্ডা সত্ত্বেও দ্রুত খোলস ছেড়ে বেরয় ম্যান ইউ। ফ্রেডের অফসাইডের জন্য একদম শুরুতেই একটি গোল বাতিল হয়। অবশ্য ৬ মিনিটের মাথায় ডান পায়ের জোরালো শটে ১-০ করেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। এ মরশুমে তাঁর অনবদ্য ফর্ম অব্যাহত। ৩২ মিনিটে সমতা ফেরান আয়োজে পেরেজ। প্রথমার্ধ ১-১ অবস্থায় শেষ হয়।
আরও পড়ুন: Kolkata TV Exclusive | Wriddhiman Saha: কেএস ভরতের কিপিং নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঋদ্ধিমান সাহা
দ্বিতীয়ার্ধে ফের আক্রমণ শুরু করে ম্যান ইউ (Man Utd)। ৫২ মিনিটে বিশ্বমানের গোল করেন অ্যান্টনি (Antony)। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শট গোলকিপারকে দর্শক বানিয়ে গোলে ঢুকে যায়। কেন তাঁকে এত টাকা দিয়ে কিনেছেন টেন হাগ তা আবার বোঝালেন ব্রাজিলীয় প্রতিভা। ৫৮ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। লিভারপুল ম্যাচের পারফর্ম্যান্স নিয়ে তুমুল সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি, এদিন যেন জবাব দিতে মাঠে নেমেছিলেন।
৮২ মিনিটে ওল্ড ট্রাফোর্ডে জীবনের প্রথম গোল করলেন দীর্ঘদেহী স্ট্রাইকার ওয়াউট ওয়েঘর্স্ট। ডান দিক থেকে ফাকুন্দো পেলেস্ট্রির বলে শট চালান ম্যাকটমিনে। গোলকিপারের গায়ে লেগে তা ওয়েঘর্স্টের পায়ে এসে পড়ে। বল গোলে ঠেলতে কোনও ভুল করেননি তিনি। গোলের পর তাঁর উচ্ছ্বাস এবং আবেগাপ্লুত চোখের জল বুঝিয়ে দেয়, এই মাঠে গোল করার স্বপ্ন ছিল তাঁর বহুদিনের।