আই এফ এ-র প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্সের খেলা নিয়ে আবার জটিলতার সৃষ্টি হল। শনিবার আই এফ এ-র ডাকা প্রিমিয়ার লিগের সভায় এসে এটিকে মোহনবাগানের প্রতিনিধি জানিয়ে দিয়ে গেলেন, আই এস এল-এর জন্য তাদের পক্ষে প্রিমিয়ার লিগে খেলা সম্ভব নয়। তাদের বক্তব্য , এত দিন তাঁরা জানতেন, ১০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগের সুপার সিক্সের পাঁচটি ম্যাচ খেলতে হবে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঁচটি ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়। তাই মোহনবাগান লিগ খেলবে না। পাশাপাশি প্রিমিয়ার লিগের দশটি ম্যাচ খেলে যে তিনটি দল সুপার সিক্সে উঠেছে তারাও জানিয়ে দিয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিগ শেষ না হলে তাদের পক্ষে টিম নামানো সম্ভব নয়। কারণ ফুটবলারদের সঙ্গে ক্লাবগুলির চুক্তি আছে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তার পর খেলা হলে নতুন চুক্তি করতে হবে। নতুন আর্থিক দায়ভার নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। সুপার সিক্সে যে তিনটি ক্লাব উঠৈছে তারা হল ভবানীপুর, খিদিরপুর আর এরিয়ান। আই এফ এ অবশ্য এখনই আশা ছাড়ছে না। তারা ক্রীড়াসূচি তৈরি করা শুরু করেছে। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে তারা সুপার সিক্সের ম্যাচ শুরু করতে চায়। ইস্ট বেঙ্গল আর মহমেডান অবশ্য খেলার সম্মতি বহাল রেখেছে।
মরসুম শুরুর অনেক আগে থেকেই মোহনবাগান লিগ খেলা নিয়ে নানা রকম টালাবাহানা শুরু করেছিল। প্রথমে তারা বলল, বকেয়া ষাট লাখ টাকার একটা কিস্তি না পেলে তারা খেলবে না। আই এফ এ ১২ লক্ষ টাকা বকেয়া মেটাবার পর তারা আবার নতুন ফ্যাকড়া বের করল। ভিয়েতনাম সফরের জন্য অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন তাদের নয়জন ফুটবলারকে ডেকে নিয়েছে। এই অজুহাতে তারা লিগ না খেলার বাহানা শুরু করল। কিন্তু শুক্রবার দেখা গেল, চূড়ান্ত দলে বাগানের মাত্র তিনজন সুযোগ পেয়েছেন। তাঁরা হলেন লিস্টন কোলাসো, দীপক ট্যাংরি এবং আশিক কুরুনিয়ন। কিন্তু প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসু কিংবা মনবীর সিংরা দলে নেই। তাই টিম গড়তে অসুবিধে হওয়ার কথা নয় তাদের। কলকাতার ফুটবল মহল আশা করেছিল যে মোহনবাগানের পক্ষে লিগ খেলা সম্ভব হবে। কিন্তু শনিবার আবার তারা নতুন অজুহাত খাড়া করল। এর সমাধান আই এফ এ কী ভাবে করে তাই এখন দেখার। কারণ ৭ অক্টোবর থেকে আই এস এল শুরু হচ্ছে। ইস্ট বেঙ্গলের প্রথম খেলা ৭ অক্টোবর। তাদের খেলা আবার কেরালার কোচিতে। মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ ১০ অক্টোবর। তারা অবশ্য ওম ম্যাচ খেলবে সেদিন। তাই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কলকাতা লিগের খেলা শেষ হয়ে গেলে সব কিছুই ঠিকঠাক চলত। কিন্তু এখন ব্যাপারটা যে জায়গায় চলে গেল তা আই এফ এ কীভাবে সামাল দেয় তাই এখন দেখার।