হায়দরাবাদ: ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে হায়দরাবাদের (SRH) প্রয়োজন ৯ রান। টি২০ ক্রিকেটে যেখানে ২০-২৫ উঠে যাচ্ছে ৯ আর কী এমন। মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর (Varun Chakravarty) হাতে বল তুলে দিলেন কেকেআর (KKR) অধিনায়ক নীতীশ রানা (Nitish Rana)। বেশিরভাগ সে সময় ভ্রু কূঁচকেছিল। স্পিনারদের মাঠ পার করা তো অপেক্ষাকৃত সহজ। তাছাড়া শিশির পড়ার কারণ বল ভালো করে গ্রিপ করা যাচ্ছে না। সমস্ত সংশয় কাটিয়ে কলকাতাকে জেতালেন বরুণ। এক উইকেট নিলেন, দিলেন মাত্র তিন রান। চার ওভারে ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট, ম্যান অফ দ্য ম্যাচ বরুণই। এহেন নায়ক কিন্তু শেষ ওভার করার আগে প্রচণ্ড চাপে ছিলেন।
ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কেকেআরের মিস্ট্রি স্পিনার বলেন, আমার হার্টবিট প্রায় ২০০ ছুঁয়েছিল। বল হাত থেকে ফসকে যাচ্ছিল। আমার মাথায় ছিল যে দিকে বাউন্ডারি বড় সেদিক করে বলা করা। সেই কৌশল কাজে দিয়েছে। ছয় মারতে গিয়ে উইকেট হারান আবদুল সামাদ। পেসারকে প্রথম বলেই চার মারা ভুবননেশ্বর কুমারও (Bhubaneshwar Kumar) কিছু করতে পারেননি।
বরুণ আরও বলেন, আগের বছর আমার বলের গতি ছিল ৮৫ কিমি প্রতি ঘণ্টার আশেপাশে। এরপর গতি বাড়াতে অনেক কিছু চেষ্টা করি। বুঝতে পারি যে আমি বলে যতটা কম স্পিন দি, বল তত স্লো হয়ে যায়। সেই কারণে বলে স্পিন বাড়াতে পরিশ্রম করি।
আরও পড়ূন: IPL 2023 | SRH vs KKR | কেকেআর হারায়নি, আমরাই হেরে গিয়েছি, বলছেন ব্রায়ান লারা
এদিকে কেকেআর স্পিনারদের প্রশংসা করলেও শেষ পর্যন্ত নিজেদের ব্যাটারদেরই দোষ দেখছেন সানরাইজার্স কোচ ব্রায়ান লারা (Brian Lara)। তিনি বলেন, সুনীল নারিন (Sunil Narine), বরুণ চক্রবর্তীরা বিশ্বমানের বোলার। আমি বলব না যে আমাদের ব্যাটারদের স্পিনের বিরুদ্ধে দুর্বলতা রয়েছে। আমি মনে করি, আমাদের এই ম্যাচটা জেতার কথা ছিল, কেকেআর আমাদের হারায়নি, আমরা হেরে গিয়েছি।
কেকেআরের জন্য এ ম্যাচে একটা বাড়তি মোটিভেশন ছিল। ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) এসে কলকাতাকে হারিয়ে দিয়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। সে ম্যাচে নাইট শিবিরের বোলারদের বেধড়ক ঠেঙিয়েছিলেন ইংলিশ ব্যাটার হ্যারি ব্রুক (Harry Brook)। ৫৫ বলে অপরাজিত ১০০ করেছিলেন তিনি। প্রথমে ব্যাট করে এসআরএইচ করেছিল ২২৮। এদিন শূন্য রানে আউট ব্রুক। ইডেনে নীতীশ রানা আর রিঙ্কু সিং (Rinku Singh) রান করেছিলেন, এদিন আবার তাঁদের ব্যাট চলল। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও উইকেটের পিছনে দুর্দান্ত ছিলেন।