কাতার: ইস্তফা দিলেন পর্তুগালের (Portugal) কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস (Fernando Santos)। কাতার বিশ্বকাপের (Qatar World Cup) কালো ঘোড়া (Dark Horse) মরক্কোর (Morocco) কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে অঘটনের হারে বিদায় নিয়েছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) দেশ। সঙ্গে সঙ্গেই কোনও পদক্ষেপ না নিলেও দু’ দিন পরেই দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা করলেন স্যান্টোস।
২০১৪ সালে পর্তুগালের কোচের পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন স্যান্টোস (Santos)। তার দু’ বছর পরেই ইউরো কাপ (Euro Cup) চ্যাম্পিয়ন হন রোনাল্ডোরা (Ronaldo)। ওটাই ছিল ইউরো কাপে ইউসেবিও, লুইস ফিগোর (Luis Figo) দেশের প্রথম ট্রফি জয়। এরপর ২০১৯ সালে নেশনস (Nations League) লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় পর্তুগাল। বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও দলকে যথেষ্ট সাফল্য এনে দিয়েছেন স্যান্টোস তা বলাই যায়। ইউরো কাপ জয়ের পর কোচের ভূয়সী প্রশংসা করে রোনাল্ডোর বক্তৃতা ভাইরাল হয়েছিল সে সময়।
আরও পড়ুন: Sachin Tendulkar: অর্জুন তেন্ডুলকরের শতরানের পর প্রথম প্রতিক্রিয়া শচীনের!
কিন্তু এই বিশ্বকাপেই সুসম্পর্কে খানিকটা চিড় ধরেছিল। গ্রুপ পর্বে প্রথম এগারোয় রাখলেও শেষ ষোলোর ম্যাচে রোনাল্ডোকে বেঞ্চে রাখেন স্যান্টোস। তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠলেও তা ধামাচাপা পড়ে যায়। কারণ রোনাল্ডোর পরিবর্তে পর্তুগিজ কোচ যাঁকে নামিয়েছিলেন সেই গনসালো র্যামোস (Goncalo Ramos) দুরন্ত হ্যাটট্রিক করেন।
কিন্তু সেই ফর্ম মরক্কোর বিরুদ্ধে ধরে রাখতে পারেননি ২১ বছরের তরুণ তুর্কি। পরে রোনাল্ডোকে নামালেও তিনি গোল করতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় স্যান্টোসের মুণ্ডপাত। সি আর সেভেনকে প্রথম থেকে খেলালে ম্যাচ হারতে হত না, এমন দাবিতে উত্তাল হয় সোশ্যাল মিডিয়া। যদিও স্যান্টোস স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রোনাল্ডোকে বেঞ্চে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর আফশোস নেই।
প্রসঙ্গত, পর্তুগালের ইতিহাসে সবথেকে বেশি ম্যাচে দায়িত্বে থাকা এবং সবথেকে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে ফার্নান্দো স্যান্টোসেরই। পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশনের (FPF) তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জাতীয় দলের মাথায় ফার্নান্দো স্যান্টোসের মতো একজন কোচ এবং মানুষকে পাওয়া ছিল সম্মানের। তাঁকে এবং তাঁর টেকনিক্যাল টিমকে ধন্যবাদ।