Monday, August 25, 2025
HomeScrollসঞ্জয়ের একমাত্র সাজা হওয়া উচিত ফাঁসি : অভিষেক

সঞ্জয়ের একমাত্র সাজা হওয়া উচিত ফাঁসি : অভিষেক

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই একজনকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তরফ থেকে যেই চার্জশিট বারবার পেশ করা হয় আদালতে তাতে নাম উঠে আসে শুধু সঞ্জয়েরই। গত শনিবার শিয়ালদহ আদালতের তরফ থেকে সঞ্জয়কেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আর আজ অর্থাৎ সোমবার শিয়ালদহ আদালতের তরফ থেকে সঞ্জয়কে যাব্বজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর আদালতের এই রায়তে কেউই খুশি নন। সকলেই দাবি করছেন এই নৃশংস ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়কে ফাসিঁ দিতে হবে।

ইতিমধ্যেই নিজের ক্ষোভের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর এবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ইস্যুতে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। তিনি বললেন, ‘ সঞ্জয়ের একমাত্র সাজা হওয়া উচিত ফাসিঁ, জেলে রেখে খাইয়ে পরিয়ে টাকা অপচয় অর্থহীন ‘।

আরও পড়ুন: আরজি কর মামলা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন! কী বলছে টলিউড?

আজ আদালতে সিবিআই দাবি করেন এই ঘটনা বিরলের চেয়ে বিরলতম, তাই সঞ্জয় রায়কে ফাসিঁ দেওয়াই উচিত। অন্যদিকে নির্যাতিতার বাবা-মা এবং চিকিৎসকেরাও সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি করেন। কিন্তু আদালতের তরফ থেকে জানানো হয় এই ঘটনা বিরলতম নয়, তাই ফাঁসির সাজা নয় তার বদলে তাকে কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।

আর আদালতের এই রায়ের পরেই এক হতে দেখা গেল সকলকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সুরে সুর মেলাতে দেখা যায় বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। এমনকি যেই জুনিয়র চিকিৎসকেরাও বারবার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তোপ তুলেছিলেন তারাও মুখ্যমন্ত্রীর মতে মত মিলিয়ে সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি করছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ এর ৯ অগাস্ট আরজি করে ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। কর্মরত অবস্থায় এক জুনিয়র চিকিৎসককে ওঠে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। আর তারপর থেকেই উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। দিকে দিকে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। চিকিৎসকদের প্রতিবাদের ডাকে তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে রাত জাগেন সকলেই। শুধুমাত্র কলকাতা নয়, বঙ্গ সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যায় প্রতিবাদের আঁচ। প্রথমে এই ঘটনার তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। তারপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করে সঞ্জয় রায়কে। পরে অবশ্য গ্রেফতার করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ অভিজিৎ মন্ডলকে। কিন্তু সিবিআই ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও সঠিক চার্জশিট তাদের বিরুদ্ধে জমা দিতে না পারায় এই কেস থেকে অব্যাহতি পান তারা।

দেখুন অন্য খবর

Read More

Latest News