বোলপুর: অনুব্রতহীন বীরভূমে (Birbhum) তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদন্দ থামার কোনও লক্ষণই নেই। বরং তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কালীঘাটের দলীয় বৈঠকে নানুনের তৃণমূল নেতা এবং কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখকে (Kajol Sheikh) বেশি কথা বলতে নিষেধ করে দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে নেত্রী তাঁকে সতর্কও করে দেন। কিন্তু কাজল আছেন কাজলেই। মঙ্গলবারই নানুনের (Nanoor) পাপুড়িতে এক সভায় ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কাজল। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত উন্নয়ন করা সত্ত্বেও নানুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন গ্রামে আমরা ২০২১-এর ভোটে হেরে গিয়েছি। কিন্তু কেন এই হার, তা আমি ঠিক সময়, ঠিক পরিস্থিতিতে বলব। কাজলের এই মন্তব্যে জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগামী দিনে এই তৃণমূল নেতা ফের বড় বোমা ফাটাবেন। তিনি দলের অনেক নেতাকে কাঠগড়ায় দাড় করাবেন।
এদিকে ওই সভা শেষ হতে না হতেই নানুরের যজ্ঞনগর তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই গোষ্ঠীই লাঠি, রড নিয়ে মারামারিতে জড়ায়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৮ জন জখম হন। কয়েকজনকে বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন : No Trust Vote Against Speaker | লোকসভার স্পিকারের প্রতি অনাস্থা আনতে চাইছে কংগ্রেস
স্থানীয় সুত্রের খবর, গ্রাম দখল নিয়ে রাজেশ শেখ এবং লালটু শেখের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। বর্তমানে এলাকার দখল রয়েছে রাজেশের হাতে। মঙ্গলবার রাতে লালটু গ্রাম দখল করতে যায়। তখনই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। বোলপুর থানার আইসি বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল। সকালেও এলাকায় পুলিশি টহলদারি চলে। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
দিন কয়েক আগেই নানুরে পার্টি অফিসের মধ্যে অনুব্রতর এক ঘনিষ্ঠ নেতাকে কাজল বাহিনী মারধর করে বলে অভিযোগ। তার আগে নানুরেই শাসক দলের সংঘর্ষে ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায়। কালীঘাটের বৈঠকে নেত্রী বীরভূম জেলার নেতাদের এক হয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট তার আগে জেলায় সব গোষ্ঠী এক হয়ে কাজ করবে কি না, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন।