বোলপুর: বিশ্বভারতী সোনার ডিম দেওয়া হাঁস। ফের রাবীন্দ্রিক, প্রাক্তনী ও আশ্রমিকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva-Bharati University) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বুধবার তিনি বলেন, ডিমের প্রতি আগ্রহ আছে বিশ্বভারতীর সকলেরে। সোনার ডিমের অংশ থেকে কতটা ভাগ পেতে পারি তার পিছনে দৌড়য়। কিন্তু হাঁসটার লালন-পালন করে না।মন্তব্য উপাচার্যের।বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের সংঘাতের মাঝেই ফের বিস্ফোরক মন্তব্য বিশ্বভারতীর উপাচার্যের।
এদিন শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যমন্ডিত মন্দিরের বিশেষ উপাসনায় ভাষণ দিতে গিয়ে রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের আক্রমণ করলেন উপাচার্য। তিনি বলেন, বিশ্বভারতী সেই হাঁস, যে সোনার ডিম দেয়। ডিমের প্রতি আগ্রহ আছে আমার, কিন্তু হাঁসটার লালন পালন করতে হবে তো। সেটা করব না। সেই আবেগ আমার নেই। আমার আবেগ আছে বিশ্বভারতী থেকে আমি কতটা পেতে পারি। সোনার ডিমের অংশ আমরা কতটা পেতে পারি। কিন্তু সোনার ডিম দেওয়া যে হাঁস বিশ্বভারতী, তারও তো লালন পালন করা দরকার, সেই আবেগ কিন্তু নেই।
আরও পড়ুন:Weather Updates: ফাল্গুনেও শীতের ব্যাটিং অব্যাহত, আগামীতে কেমন থাকবে আবহাওয়া, জেনে নিন
এদিন মন্দিরে যেকোনও শব্দের দুটি পৃথক অর্থ থাকে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, ২০২০ সালে ২০ অগাস্ট কিছু অসামাজিক লোকেদের তাণ্ডব নিত্য চলেছিল। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যমন্ডিত তোরণ ভাঙা হয়েছিল। বিশ্বভারতীর সীমানার দেওয়াল ভাঙা হয়েছিল। এটাও আবেগের বশে করেছিল। অর্থাৎ আবেগ শব্দের ভালো দিকও আছে। বিকৃত দিকও আছে।
এর আগেও বিশ্বভারতীর উপাচার্যদের আক্রমণ করেন তিনি। উপাচার্য বলেন, আশ্রমিক ও প্রাক্তনীরা বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) কাছে ভোগ করবেন। দায়িত্বের জায়গায় কর্তব্য পালন করবেন না। আমি শুনেছিলাম শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকরা বিশ্বভারতীর বিভিন্ন কাজে মতামত দেন। বিশ্বভারতীর কাজে সাহায্য করেন। শুনে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু, ২০১৯ সালে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখিনি। ২০২০ সালে শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক, রাবীন্দ্রিক মনোভাবাপন্ন ও প্রাক্তনীদের ডেকে অনুরোধ করেছিলাম, বিশ্বভারতীর পাশে থাকতে। কিন্তু ১০০ জনেরও বেশি ৩০ দফা দাবি নিয়ে আমাকে একটা কাগজ দিয়েছিলেন। সেই কাগজ আমার কাছে এখনও আছে।