বীরভূম: দাবিমতো তোলা না দেওয়ায় ডাম্পারের (Dumper) চালক এবং খালাসিকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। খালাসির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষী পুলিশের (Police) শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে (Agitation) শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। আন্দোলনের চাপে পড়ে থানার অফিসার বিশ্বজিৎ মালকে ক্লোজ করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ইলামবাজার চেক পোস্টের কাছে দীপু নামে এক ডাক মাস্টার ডাক চালায়। সে বিভিন্ন গাড়ি থেকে টাকা তোলে। টাকা না দিলেই পুলিশ মামলা রুজু করে হয়রান করে গাড়ি চালকদের। যারা পুলিশের হয়ে টাকা তোলে, তাদের ডাক মাস্টার (Daak Master) বলা হয়।
আরও পড়ুন: Teacher Unnatural Death: বেআইনি চাকরিপ্রাপকের তালিকায় নাম, শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
রবিবার রাতে পাড়ুইয়ের বাসিন্দা ইসমাইল এবং শেখ নুরু ডাম্পার নিয়ে আসছিলেন। সিউড়ি-বোলপুর সড়ক ধরে। ডাক মাস্টার টাকা চাইলে তাঁরা দিতে রাজি হননি। এরপর পুলিশ ডাম্পারটি আটকে দেয়। চালক ইসমাইল এবং খালাসি শেখ নুরুকে ডাম্পার থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। নুরুর চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা সকাল থেকে সিউড়ি-বোলপুর সড়ক অবরোধে নেমে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ডাক মাস্টারের দাবিমতো টাকা না দিলেই গাড়ি চালকদের মারধর করে পুলিশ। বারবার উঁচু মহলে জানিয়েও কোনও প্রতিকার মেলেনি। তাই এদিন তাঁরা বাধ্য হয়ে অবরোধে শামিল হয়েছেন।