নারায়ণগড়: আবাস যোজনার ঘরের জন্য ১০ হাজার টাকা কাটমানি না চাওয়ার হুমকি উপ প্রধানের বিরুদ্ধে। টাকা দিতে অস্বীকার এক পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থানার ৪ নম্বর কুনারপুর অঞ্চলের সাঁইবনি এলাকায়।
আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যে একের পর এক অভিযোগ সামনে এসেছে। কোথাও টাকার বিনিময়ে ঘর পাইয়ে দেওয়া কোথাও আবার বেনিয়মের ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার আবাস যোজনার বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার পর ১০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ। ঘটনায় উপ-প্রধান তথা সাঁইবনি এলাকার পঞ্চায়েত সুকলাল হাঁসদার বিরুদ্ধে নারায়ণগড় থানা ও ব্লক সমষ্টি আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুভাষী প্রধান নামে এক মহিলা। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুনারপুর অঞ্চলের তৃণমূলের উপ-প্রধান সুকলাল হাঁসদা।
আরও পড়ুন:Calcutta High Court: নবম-দশমে সুপারিশ বাতিলে এখনই স্থগিতাদেশ নয় আদালতের
জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দা বিশ্বনাথ প্রধান নামে এক ব্যক্তি আবাস যোজনায় বাড়ি পায়। অভিযোগ, বাড়ি তৈরি হওয়ার আগেই ওই পঞ্চায়েত সদস্য তথা উপপ্রধান সুকলাল হাঁসদা তাঁর কাছে থেকে প্রথমে ১০ হাজার টাকা কাটমানি নেন। পরবর্তীতে গত সোমবার বাড়ির ছাদ ঢালাই করতে গেলে ফের ১০ হাজার টাকা কাটমানি চান বলে অভিযোগ। টাকা দিতে অস্বীকার করায় উপপ্রধান ও এলাকার কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেয় বলে দাবি বিশ্বনাথের। এমনকি টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। এরপর মঙ্গলবার নারায়ণগড় থানা ও ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্বনাথের স্ত্রী সুভাষী প্রধান।
অন্যদিকে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান সুকলাল হাঁসদা। তিনি বলেন, ওদের বাড়ি তৈরির সময় যে মিস্ত্রি কাজ করেছিল তাকে টাকা দেয়নি। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে, ওরা চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান রঞ্জিত সাউ বলেন, আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও অভিযোগ আসেনি। যদি কোনও অভিযোগ আসে সেটা আমরা খতিয়ে দেখব। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। এ ব্যাপারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌরীশংকর অধিকারী বলেন, তৃণমূল মানেই চুরি, কাটমানি। শুধু এখানেই নয়, যেখানে যাবেন প্রতিটি জায়গায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রধান, উপ-প্রধান ১০০ দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা লুট করে যাচ্ছে।