বাঁকুড়া: তৃণমূলের (TMC) জেলা কমিটি নাম ঘোষণা হতেই ক্ষোভ দলের একাংশের। নিজের লোক ও অযোগ্যদের জেলা কমিটিতে রাখার অভিযোগ তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। রাজ্যের অনুমতিক্রমে হয়েছে কমিটি সাফাই জেলা সভাপতির। কটাক্ষ বিজেপির (BJP)।
তৃণমূলের বাঁকুড়া (Bankura) সাংগঠনিক জেলার জেলা কমিটি ঘোষণা হতেই ক্ষোভ ছড়াল তৃণমূলের অন্দরে। বুধবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ায় তৃণমূল ভবনে সাংগঠনিক জেলার কমিটি ঘোষণা করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা কমিটির নাম ঘোষনা করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র। সেই কমিটির নাম প্রকাশ হতেই প্রকাশ্যে দলের দ্বন্দ্ব। দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে অযোগ্য ও অবাঞ্ছিতদের কমিটিতে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তুলে সরব হন দলেরই বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। একই ক্ষোভ ছড়িয়েছে দলের অন্যান্য নেতাদের একাংশের মধ্যেও। এই বিষয় নিয়ে বিজেপিও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।
বুধবারই ওন্দা হাইস্কুল মাঠে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা গড়ে। সেই সভার রেশ কাটতে না কাটতেই দলীয় কোন্দল দলের অন্দরে। সন্ধ্যায় সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কমিটির পূর্নাঙ্গ তালিকা প্রসঙ্গে তালডাঙার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী দাবি করেন, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ না মেনে জেলা কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকজন অবাঞ্ছিত মানুষকে। বিরোধীদলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা ব্যাক্তিদেরও জেলা কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ওই বিধায়কের। এ ব্যাপারে তিনি দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। জেলা কমিটিতে সদস্য হিসাবে স্থান পাওয়া সদস্য কল্যাণ দে স্পষ্ট এই তালিকা অবৈধ বলে দাবিও করেছেন। তাঁর দাবি, এর পিছনে টাকা পয়সার লেনদেন হয়ে থাকতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে তৃনমূলের জেলা সভাপতি জানান, ক্ষোভের কথা তিনি জানেন না। যে কমিটি ঘোষনা হয়েছে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই হয়েছে। জেলা কমিটি নিয়ে দলের অন্দরের ক্ষোভকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
দোরগড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগেই তৃণমূলের জেলা কমিটির নাম ঘোষনার পরই যেভাবে প্রকাশ্যে আসছে দলের অন্দরে ক্ষোভ। সেই ক্ষোভ মেটাতে দলীয় উচ্চ নেতৃত্ব কী ব্যবস্থা নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।