বেলডাঙা: মঙ্গলবারের পর ফের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়লেন আশাকর্মীরা। এর জেরেই বিক্ষোভ শুরু আশাকর্মীদের। বুধবার দুপুরে বেলডাঙ্গা ১ নম্বর ব্লক অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আশাকর্মীরা। তাদের দাবি, আবাস যোজনা সমীক্ষা করতে গিয়ে তাঁরা অপমানিত হচ্ছেন। কোথাও বা তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবার যে কাজ করেন তাঁরা সেই কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে দাবি আশাকর্মীদের। তাঁরা জানান, আবাস যোজনার প্রকল্পে যাদের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে সেই ব্যক্তি যদি প্রভাবশালী হন বা পাকা বাড়ির মালিক হন সেই নাম তাঁরা কিছুতেই কাটতে পারছেন না। নাম কাটতে গেলেই তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে তাঁরা স্বাস্থ্যপরিসেবা নিয়ে থাকতে চান, রাজনীতি নিয়ে নয়।
এদিকে ওই বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে বেলডাঙ্গা ১ নম্বর ব্লক আধিকারিক উদয়শঙ্কর মাইতি বলেন, আশাকর্মীরা তাঁদের অসুবিধার কথা জানিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকা মেনে আবাস যোজনার সমীক্ষা ওই আশাকর্মীদেরই করতে হবে। ওই সমীক্ষার সময় কোনও অসুবিধে হলে প্রশাসন অবশ্যই পাশে থাকবে বলে জানান বিডিও। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গল কোটে দুয়ারে ডি এম।।আবাস যোজনার তালিকা দেখে উপভোক্তা কে সনাক্তকরণ করবে অঙ্গনারী, আশাকর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়াররা। এতে নারাজ এই সমস্ত কর্মীরা।
আরও পড়ুন:G20 Summit: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, আলোচনা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে
সোমবার আশা কর্মীদের মঙ্গলকোট বিডিও অফিসে ডেপুটেশনের পর উপভোক্তাদের বাড়িতে হাজির পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক।গত দুবছর আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের নামের তালিকার সমীক্ষা হয়েছিল। সেই তালিকা প্রকাশও হয়েছে। কিন্তু উঠছে নানান প্রশ্ন। সেই তালিকা নতুন করে সমীক্ষা করবে আশা কর্মী, অঙ্গনারী কর্মী ও ভিলেজ পুলিশ তা জানিয়েছিল কেন্দ্র। এরপরই নিরাপত্তা অভাব বোধ করছে বলে জানান এই সমস্ত কর্মীরা। সেই ডেপুটেশনের ভিত্তিতেই বুধবার হঠাৎই পরিদর্শনে আসেন পূর্ব বর্ধমানের ডিএম প্রিয়াঙ্কা সিংলা। তালিকা ধরে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করেন তিনি।
এদিন মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনহাট, কলাইডাঙ্গা, আদিবাসী পাড়ায় তিনি পরিদর্শন করেন। জেলাশাসক জানান, তালিকা অনুযায়ী সমীক্ষা করা হয়েছে। মানুষের নানান সমস্যার কথা শুনলাম।
কেন্দ্রীয় সরকারের হঠাৎ এই সিদ্ধান্তের জেরে সমস্যায় যেমন পড়েছে উপভোক্তারা ঠিক তেমনি সমস্যায় পড়েছেন জেলার আধিকারিকগণ।