বানারহাট: খোদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Health Center) অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। বিষাক্ত পার্থেনিয়াম ও নোংরা আবর্জনার পাহাড় জমেছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে। একই সঙ্গে চলছে পশু হাসপাতাল (Hospital)। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে নেই কোনও চিকিৎসক। সহায়ককের ওপর ভরসা করেই চলছে কেন্দ্র। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষজন। জলপাইগুড়ি জেলার সাঁকোয়াঝোরা-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গয়েরকাটার ঘটনা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দিনের পর দিন এভাবেই নোংরা আবর্জনার স্তূপের মধ্যেই চলছে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পশু হাসপাতালটি। বারংবার প্রশাসনের কর্তাদের সাফ করার ব্যাপারে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে জমে রয়েছে জল কিলবিল করছে মশার লার্ভা। পার্থেনিয়ামে ছেয়ে গিয়েছে গোটা চত্বর। যেখানে মানুষ সুস্থ হতে আসবে সেই জায়গা থেকেই ফিরছে ফুসফুস বোঝাই বিষাক্ত বাতাস নিয়ে।
আরও পড়ুন: কালীপুজোয় বৃষ্টি! কোন কোন জেলায় কমবে তাপমাত্রার পারদ?
পরিবেশপ্রেমীদের অভিযোগ, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে ড্রেনে জল জমে রয়েছে। সেখানে মশার লার্ভা কিলবিল করছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে জঙ্গল, নোংরা-আবর্জনার পাহাড় জমেছে। তাঁদের কোথায়, পশু হাসপাতাল থাকলেও কোনও চিকিৎসক নেই। একজন সহায়ক দিয়ে কিভাবে সেই হাসপাতাল চলছে? তাও একই বাউন্ডারিতে। গবাদি পশুর মল ত্যাগের পর সেভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে না। কেন রাজ্যের খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দায়িত্বে থাকা এই দফতরের এই হাল ? তার সদুত্তর দিতে পারেনি কেউ।
এবিষয়ে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল চক্রবর্তী বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে তাঁদের হাতে বোর্ড না থাকার কারণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে পারছেন না। তবে যেখানে যেখানে মশার উপদ্রব রয়েছে, সেসব জায়গায় ভিআরপি টিমের সদস্যরা কাজ করছে। মশার কীটনাশক স্প্রে করছে। গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন হলেও এখনও পর্যন্ত উপসমিতি গঠন না হওয়ার কারণে তাঁরা কোনও কাজ করতে পারছে না। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বোর্ড গঠন হয়ে গেলেই এই সমস্যার সমাধান হবে বলেই তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, এই সমস্ত নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করার দায়িত্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়, সেগুলো স্বাস্থ্য দফতর করতে পারে তবুও গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই সব সময় করে দেওয়া হয়।
দেখুন আরও অন্য খবর: