বাঁকুড়া: রাজ্য সড়ক বাঁকুড়া-দুর্গাপুরের রাস্তা প্রতিদিনই দুর্ঘটনা প্রবণ হয়ে উঠছে। সাধারণ নিত্যযাত্রীরা অভিযোগ, যা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। প্রতিদিন কয়েক হাজার বাস পণ্যবাহী লরি, ট্রাক, ডাম্পার সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে এই রাস্তা দিয়েই। এছাড়াও দুর্গাপুর ব্যারেজ লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামের মানুষ প্রতিদিন সাইকেল, বাইক বা ছোট গাড়ি করে যাতায়াত করেন নিত্যদিন। অনেকে পায়ে হেঁটেও কর্মস্থলে যান। রাস্তার অবস্থা ভয়ানক হওয়ায় কখনও গাড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে কখনও বা দুর্ঘটনা ঘটছে।
রাস্তা সারানোর দাবিতে, বুধবার বিজেপির তরফে রাস্তা অবরোধ করা হয়। অভিযোগ, সেচ দফতরের সঙ্গে স্থানীয় ঠিকাদারদের একটি চক্র রয়েছে। এর ফলে বারবার এই রাস্তা সারানো হলেও রাস্তা খারাপ হয়ে যাচ্ছে নিম্নমানের মেটেরিয়াল ব্যবহার করার জন্য। শুধু তাই নয় দুর্গাপুর ব্যারেজের ফুটপাতে টাইলস বসিয়ে সাজানো হয়েছিল মানুষের যাতায়াতের জন্য। সেগুলো কয়েক মাস যেতে না যেতেই ভেঙে যায়। দুর্গাপুর ব্যারেজের এই গুরুত্বপূর্ণ ৩৪টি লকেটের উপরের রাস্তা গুরুত্ব সহকারে ভালোভাবে না সারাই করা হলে সমস্যা আরও বাড়বে প্রতিদিন।
আরও পড়ুন: লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় অভিষেক-রুজিরাকে তলব ইডি-র
এছাড়াও দুর্গাপুর ব্যারেজের উপরে সরকারি টোল আদায়ের টোল প্লাজা বন্ধ বেশ কয়েক বছর। টোল আদায়ের না হওয়ায় সরকারের প্রচুর টাকা রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে বছরের পর বছর। সেই সুযোগ নিয়ে প্রচুর ওভারলোডিং গাড়ি যাতায়াত করছে দুর্গাপুর ব্যারেজের এই রাস্তার উপর দিয়ে তার ফলে আরও ক্ষতি হচ্ছে রাস্তার বলে অভিযোগ। ব্রিজের উপর দুদিকে দুটি টোল প্লাজা থাকার কারণে অনেক সময় যানজট হত টিকিট কাটার। তাই দুর্গাপুর ব্যারেজ পেরিয়ে বাঁকুড়ার দিকে নতুন একটি টোল প্লাজা তৈরি করা হয়। কিন্তু সঠিক প্লানিং এর অভাবে সেই টোল প্লাজা চালু করা যায়নি । তাই সরকারি রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে দিনের পর দিন। যদিও সেচ দপ্তরের আধিকারিক জানিয়েছেন অলরেডি টেন্ডার হয়ে গেছে বর্ষার পরেই কাজ শুরু হবে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: