কাটোয়া: পূর্বস্থলীর (Purbasthali) ঝাউডাঙ্গায় ৫০০ মিটার বাঁধ ভেঙে বিপত্তি। ভাগীরথীর (Bhagirathi) ভাঙনে (Land Erosion) কয়েক হাজার বিঘা জমি জলের তলায়। গত পাঁচ দিনের ভাঙন বীভৎস চেহারা নিয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনকে (Administration) জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। চাষীদের (Farmers) মাথায় হাত।পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ২ নম্বর ব্লকের মধ্যে ঝাউডাঙ্গা পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী নদী। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় জলস্ফীতি বেড়েছে ভাগীরথীতে।
এই এলাকায় ভাঙন নতুন ঘটনা নয়। দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে ভাঙনে চলে গিয়েছে গ্রাম। চলে গিয়েছে গ্রামের স্কুল। ভাঙনের সময় প্রতিবছরই বালির বস্তা ও বাঁশ দিয়ে কোনওরকমে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হয়। স্থায়ীভাবে কোনও ব্যবস্থা না করায় এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরমে, এমনটাই দাবি এলাকাবাসীদের। গত ৩-৪ দিন ধরে ভাগীরথীর জলস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় ঝাউডাঙ্গার গ্রামের ৫০০ মিটার বাঁধ গত দুদিন আগে ভেঙে গিয়েছে। হুহু করে জল ঢুকছে গ্রামে। ইতিমধ্যেই প্রায় কয়েক একর চাষজমি জলের তলায়।
আরও পড়ুন: বিপর্যয় নিয়ে অনিত থাপর সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
প্রতিবছর ভাঙনে একটু একটু করে ভাঙতে ভাঙতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে গ্রাম। বর্তমানে বেশ কিছু মানুষ চলে গিয়েছেন অন্যত্র। তবুও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের। এলাকার চাষীদের অভিযোগ, বারবার প্রশাসনকে বছরের পর বছর জানিয়েও কোনও লাভ হয় না। পুজোর আগে কয়েকশো একর জমির ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে এই এলাকায়। সারা বছর রাজ্যের চাষীরা তাকিয়ে থাকে আমন ধানের দিকে। সেই আমন ধান চাষে মোটা উপার্জন হয়। সেই উপার্জন এই এলাকায় চাষীদের বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের কপালে।
আরও খবর দেখুন