বালুরঘাট: গত লোকসভা ভোটে বালুরঘাটে বিজেপির সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) জয়ের পিছনে বিএসএফের (BSF) বড় ভূমিকা ছিল বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) অভিযোগ করলেন। মঙ্গলবার বালুরঘাটে মমতা বলেন, আমার কাছে খবর আছে, গতবার ভোটের লাইন করিয়েছিল বিএসএফ। এবার যেন সে সব না হয়। মনে রাখবেন, ভোট চলে যাবে। আমরা থাকব। তখন কিন্তু কথাটা মনে রাখবেন। তিনি বলেন, ভোট করবেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার। সেখানে বিএসএফ আসে কোথা থেকে। কে তাদের লাইন ম্যানেজ করার অধিকার দিয়েছে। বিজেপি (BJP) মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করেছে। দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো মস্তানের ভাষায় কথা বলছেন। দেখে নেব, এটা আবার কী কথা। ভোট তো হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে। এর মধ্যে আবার আলাদা করে বিএসএফ এল কোথা থেকে।
সোমবার কোচবিহারেও বিএসএফকে (BSF) আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা ভোটের সময় শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে তিনি সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেন। মমতা বলেন, সীমান্তে বিএসএফ কার্ড দেওয়ার চক্রান্ত করছে। আপনারা কেউ সেই কার্ড নেবেন না। নিলেই এনআরসি করে দেবে কেন্দ্র। আপনারা বলে দেবেন, আমাদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড আছে। আমরা এ দেশের নাগরিক। আর কোনও কার্ড চাই না। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসককে বলেন, যারা এ পার থেকে ও পারে যায়, তাদের পারমিট আপনি দেবেন। বিএসএফ যেন না দেয়।
আরও পড়ুন: ডিগবাজিকে ডোন্ট কেয়ার, ইন্ডিয়া-তে একাই একশো রাহুল!
২০১৯ সালে বালুঘাট লোকসভা কেন্দ্র দখল করে বিজেপি। সাংসদ হন সুকান্ত। সেবার ওই কেন্দ্রের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে লিড ছিল তৃণমূলের। তিনটিতে জেতে বিজেপি। কিন্তু মোট ভোটের হিসেবে জয়ী হন সুকান্ত। পরে তাঁকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা হয় দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ভালো ফল করে। লোকসভা আসনে প্রায় ৯০ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকে তারা। পুরসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটেও তৃণমূল (TMC) বিজেপিকে অনেক পিছনে ফেলে দেয়। বালুরঘাট পুরসভার যে ওয়ার্ডে সুকান্তের বাড়ি, সেই ওয়ার্ডেও বিজেপির প্রার্থী পরাজিত হয়। এবার তৃণমূলের পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ। এই দুদিন কোচবিহার এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন সভায় মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের জন্য তাঁর সরকার কী কী করেছে, তার লম্বা ফিরিস্তি দেন।
আরও খবর দেখুন